সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের জন্য রাজধানী দিল্লীতে রেললাইনের দু’ধার থেকে বসতি উচ্ছেদ করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ জানিয়েছিল ভারতীয় রেল। এই প্রেক্ষিতে সোমবার শীর্ষ আদালত রায় দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে যে, রেললাইনের দু’ধার থেকে ৪৮ হাজার বসতি উচ্ছেদ করতে হবে। দফায় দফায় তিন মাসের মধ্যে খালি করে দিতে হবে রেলের ‘সেফটি জোন’। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক বা অন্য কোনও ধরনের হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না।
এর আগে নিম্ন আদালতে বসতি উচ্ছেদের ওপরে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল। সর্বোচ্চ আদালত নির্দেশ দিয়েছে, সেই রায় কার্যকরী হবে না। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ‘সেফটি জোন থেকে জবরদখলকারীদের সরিয়ে দিতে হবে তিন মাসের মধ্যে। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক বা অন্য কোনও হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না। কোনও কোর্ট যদি উচ্ছেদের ওপরে স্থগিতাদেশ দিয়ে থাকে তাও গ্রাহ্য করা হবে না।’ বিচারপতি অরুণ মিশ্রের নেতৃত্বে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের এক বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে।
রেল জানায়, ২০১৮ সালে গ্রিন ট্রাইব্যুনাল রায় দিয়েছিল, জাতীয় রাজধানী এলাকায় ১৪০ কিলোমিটার অঞ্চল থেকে জবরদখল সরিয়ে দিতে হবে। সেজন্য স্পেশাল টাস্ক ফোর্স গঠিত হয়। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, গ্রিন ট্রাইব্যুনালের রায় কার্যকর করার জন্য আলোচনায় বসুক রেল, দিল্লী সরকার ও সংশ্লিষ্ট প্রতিটি পুরসভা। বিচারপতিরা বলেছেন, আগামী সপ্তাহেই ওই বৈঠক করতে হবে। তারপরেই শুরু করতে হবে উচ্ছেদ। সেফ জোনকে দখলমুক্ত করতে মোট খরচের ৭০ শতাংশ বহন করবে রেল। বাকি ৩০ শতাংশ বহন করবে দিল্লী সরকার।