দেশজোড়া প্রতিবাদ-বিক্ষোভ সত্ত্বেও নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় ছিল কেন্দ্র। যার ফলে ইতিমধ্যেই জেইই মেন-এর তিনটি পেপারের পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রের দেওয়া তথ্যেই এবার উঠে এল পরীক্ষায় হাজিরার করুণ চিত্র। প্রায় ২৫ শতাংশ পড়ুয়া পরীক্ষায় বসতে পারেননি। এই পরিসংখ্যান সামনে আসার পরে ফের প্রশ্ন উঠেছে, কেন পরীক্ষা পিছনো হল না। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ বছর জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সাম (জেইই)-এ নাম নথিভুক্ত করেছিলেন ৪ লক্ষ ৫৮ হাজার ৫২১ জন ছাত্রছাত্রী। তার মধ্যে প্রথম তিন দিনে অনুপস্থিত ছিলেন অন্তত ১ লক্ষ ১৪ হাজার ৫৬৩ জন পড়ুয়া। যা মোট পরীক্ষার্থীর প্রায় ২৫ শতাংশ। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
শিক্ষামন্ত্রকের ওই পরিসংখ্যান থেকেই জানা গিয়েছে, প্রথম তিন দিন পরীক্ষা দিয়েছেন ৩ লক্ষ ৪৩ হাজার ৯৫৮ জন। এর মধ্যে প্রখম দিন হাজিরার হার ছিল ৫৪.৬৭ শতাংশ। দ্বিতীয় দিন এই হার ছিল ৮১ এবং তৃতীয় দিনে ৮২। ওয়াকিবহাল মহলের অনেকের মতে অবশ্য প্রতি বছরই নথিভুক্ত পরীক্ষার্থীদের একটা অংশ পরীক্ষায় বসেন না। তবে সেই হার ১০ থেকে ১৫ শতাংশের বেশি হয় না বলেই সংশ্লিষ্ট মহলের মত। কিন্তু এ বার সেই অনুপস্থিতির হার অনেকটাই বেশ। তাঁদের মতে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা পুরোপুরি সচল না থাকার কারণেই এত বড় সংখ্যক পরীক্ষার্থী গরহাজির হয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে মোদী সরকারকে।