সুশান্ত সিং রাজপুতের বান্দ্রার ফ্ল্যাট ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডার পর এবার রিয়া চক্রবর্তীর ভাই শৌভিককেও নিজেদের দফতরে নিয়ে গিয়েছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। আজ সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ এনসিবির একটি সার্চ টিম গিয়েছিল রিয়া-শৌভিকের বাড়িতে। শুরু হয় তল্লাশি। তল্লাশি শেষে শৌভিকের ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করেছেন এনসিবি কর্তারা। তারপর শৌভিককে জেরা করার জন্য তাঁদের সঙ্গেই নিয়ে যাওয়া হয়েছে নারকোটিক্স ব্যুরোর দফতরে।
ইতিমধ্যেই মুম্বইয়ের বান্দ্রা থেকে জাইদ ভিলাত্রা নামের বছর ২০-র এক ড্রাগ ডিলারকেও গ্রেফতার করেছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। সূত্রের খবর, রিয়ার ভাই শৌভিক এবং সুশান্তের বান্দ্রার ফ্ল্যাটের ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল জাইদের। শৌভিক এবং স্যামুয়েল সঙ্গে ভিলাত্রার যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিল আর এক ড্রাগ ডিলার আবদুল বসিত পরিহার। এই পরিহারকেও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন এনসিবি আধিকারিকরা। মুম্বই, বেঙ্গালুরু এবং গোয়ার আরও অনেক মাদক পাচারকারীর উপর নজর রয়েছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর।
তদন্তের সময় আধিকারিকদের হাতে আসে বেশ কিছু হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের অংশ-বিশেষ। সেখানে দেখা গিয়েছিল রিয়া, তাঁর ভাই শৌভিক, সুশান্তের ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা, গোয়ার হোটেল ব্যবসায়ী গৌরব আর্য এবং সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার শ্রুতি মোদী মাদকের ধরন, ডোজ, প্রভাব এসব নিয়ে আলোচনা করেছেন। এরপরেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের চিঠি পেয়ে তদন্তে নামে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো।
রিয়া-শৌভিকের বাড়িতে যাওয়ার পাশাপাশি আজ সকালে এনসিবির আর একটি দল গিয়েছিল স্যামুয়েল মিরান্ডার বাড়িতে। সেখানে তল্লাশি অভিযান শেষ করে স্যামুয়েলকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এনসিবি দফতরে নিয়ে আসেন আধিকারিকরা।