চলতি বছর নভেম্বরে নির্বাচন হওয়ার কথা বিহারে। রোজ যে হারে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে তাতে এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনের আয়োজন করা ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকেই। কিন্তু কোনও মতেই বিহার ভোট পিছবে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এবার একই সময় দেশের ৬৫টি আসনে উপনির্বাচনও সেরে ফেলতে চাইছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সারা দেশে এই মুহূর্তে মোট ৬৪টি বিধানসভা কেন্দ্র এবং একটি লোকসভা কেন্দ্র উপনির্বাচনের মুখে রয়েছে। আজ, শুক্রবার এ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কমিশন। এই ঘোষণার ফলে এ রাজ্যেও উপনির্বাচনের দামামা বেজে গেল। উপনির্বাচন হতে পারে ফালাকাটা ও হেমতাবাদ বিধানসভা কেন্দ্রে।
প্রসঙ্গত, বিধায়ক বা সাংসদের মৃত্যু কিংবা দলবদলের জেরে দেশের ৬৪টি লোকসভা ও বিধানসভা আসন ফাঁকা পড়ে রয়েছে। নয়া বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, একই সময়ের মধ্যের ওই ৬৪টি আসনের উপনির্বাচনও সেরে ফেলবে কমিশন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মূলত আধা সেনা ও অন্যান্য নিরাপত্তাকর্মীদের মোতায়েন ও অন্যান্য লজিস্টিক সাপোর্টের কথা মাথাই রেখেই এই নির্বাচনগুলি একসঙ্গে করার কথা ভাবা হয়েছে। তবে কবে হবে এই নির্বাচনগুলি, তা এখনও জানানো হয়নি। সঠিক সময় নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তবে বেশ কয়েকটি রাজ্য থেকে এখন উপনির্বাচন না করানোর আর্জি জমা পড়েছিল কমিশনে। সেগুলি খতিয়ে দেখছে কমিশন। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘কয়েকটি রাজ্য বন্যা, করোনাভাইরাসের কারণে উপনির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিল। তবে ওই সব রাজ্যের মুখ্যসচিব ও মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের থেকে রিপোর্ট নেওয়া হয়েছে।’