২০২০-তে নয়ই, এমনকি ২০২১-এর মাঝামাঝির আগেও করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক ব্যাপক হারে বিশ্ববাজারে আসার সম্ভাবনা কম। আজ এমনই মতপ্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। এদিন সংস্থার মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস বলেন, “যে সব প্রতিষেধকের এখনও পর্যন্ত ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হয়েছে, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় তা কতটা দক্ষ সে বিষয়ে কোনও সংস্থাই ‘স্পষ্ট ইঙ্গিত’ দেয়নি।”
মার্গারেটের মতে, এই কারণে চূড়ান্তভাবে বাজারে আসার আগে সেই সব প্রতিষেধকের কার্যকারিতা এবং সেগুলি কতটা নিরাপদ তা আরও ভাল ভাবে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। প্রসঙ্গত, গত আগস্টে রাশিয়া কোভিড প্রতিষেধক প্রয়োগের অনুমতি দেওয়ার পর থেকেই বিশ্ব জুড়ে নানা মহলে এর বিশ্বাসযোগ্যতা এবং নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবারই মার্কিন জনস্বাস্থ্য দফতরের এক সূত্র এবং ফাইজার সংস্থা জানায় অক্টোবরের শেষেই প্রতিষেধক সরবরাহ করা হবে।
মার্গারেট বলেন, “প্রতিষেধকের তৃতীয় পর্বের পরীক্ষা একটা দীর্ঘ সময় নিয়ে করা উচিত। কারণ আমাদের জানতে হবে সেই প্রতিষেধক আদৌ মোকাবিলা করতে সক্ষম কি না। বা সেই প্রতিষেধক আদৌ নিরাপদ তো!” যদিও মার্গারেট প্রতিষেধক নিয়ে কাজ করা নির্দিষ্ট কোনও সংস্থার নাম এদিন উল্লেখ করেননি। এর পর কিছুটা উষ্মার সুরেই মার্গারেট বলেন, “করোনার প্রতিষেধক নিয়ে যা যা পরীক্ষা হচ্ছে, তা জানানো প্রয়োজন। অনেক মানুষকে কোভিড প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা জানতেই পারিনি আদৌ সেই প্রতিষেধক কাজ করেছে কি না!”