চালু হওয়ার কথা ছিল ৮ সেপ্টেম্বর। কিন্তু শুরুর আগেই পিছিয়ে গেল কলকাতায় মেট্রো চালুর দিন। বৃহস্পতিবার নবান্নে বৈঠকে বসেন মেট্রো রেলের আধিকারিকরা। সেই বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি অর্থাৎ ১৪ অথবা ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে পারে মেট্রো পরিষেবা।
এদিন বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ নবান্নে মেট্রো রেলের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক হয় প্রশাসনের। নবান্নের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব, পরিবহণ দফতরের আধিকারিক, কলকাতা পুলিশের কমিশনার, ডিরেক্টর জেনারেল, কলকাতা পুরসভার আধিকারিক, স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন এই বৈঠকে। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সূত্রের খবর, পরিষেবা শুরু করার ক্ষেত্রে কোনও তাড়াহুড়ো করতে চাইছে না সরকার ও মেট্রো রেল। আর তাই সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি ১৪ অথবা ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে পরিষেবা শুরু হওয়ার কথা ভাবা হয়েছে। ১৫ সেপ্টেম্বর থেকেই পরিষেবা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন স্টেশনে স্যানিটাইজেশনের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে জোরকদমে।
জানা গিয়েছে, এদিনের বৈঠকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল যাত্রী সুরক্ষা। নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের গাইডলাইন মেনে যা যা স্থির করা হয়েছিল, যাত্রী পরিবহণে ফের সেগুলোতেই জোর দেওয়া হয়। অর্থাৎ সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা, একেকটি গাড়িতে গড়ে ৪৫০ জন যাত্রী সফর করলে, তবেই সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রাখা যাবে, যারা ট্রেনে বসবেন, তাঁদের একটি করে সিট ফাঁকা রেখে বসতে হবে। যারা দাঁড়াবেন তাঁদেরও এক মিটার দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়াতে হবে। প্ল্যাটফর্মে, টিকিট কাউন্টারেও তেমনই – ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। তবে ঠিক কোন দিন থেকে কলকাতায় মেট্রো চলাচল ফের শুরু হবে, সেই দিন কিন্তু স্থির হল না এদিনের বৈঠকে। সূত্রের খবর, মেট্রোর তরফে যাঁরা এদিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের কারওরই সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ার নেই। তাই রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা যা যা উঠে এসেছে, তা জানানো হবে মেট্রোরেলের জিএম-কে। এরপর তিনিই নেবেন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
এদিনের বৈঠকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুষ্ঠুভাবে মেট্রো পরিষেবা দিতে রাজ্যের সাহায্যের আবেদন করেন মেট্রো কর্তারা। রাজ্যও পালটা জানায়, তারা সবরকমভাবে প্রস্তুত। এরপরই মেট্রো কর্তারা জানান যে তাঁরা রাজ্যের সঙ্গে আলোচনার খুঁটিনাটি জানাবেন জিএমকে। তিনিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। সূত্রের খবর, জিএমের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আরও একপ্রস্ত বৈঠক হতে পারে। তারপরই স্থির হয়ে যাবে সেপ্টেম্বরের কোন দিন থেকে ফের সচল হবে পাতালপথ।