করোনার জেরে বাসে কাগজের টিকিটও আর সেভাবে বিকোচ্ছে না। কারণ, সংক্রমণের ভয়ে কেউ টিকিট নিতেই চাইছেন না। প্রয়োজন পড়ছে না নতুন টিকিটের। আর তার ফলেই কার্যত বন্ধ হতে বসেছে একের পর এক টিকিট ছাপানোর কারখানা।
লকডাউনে টানা দু’মাস বন্ধ থাকার পর বাস চালু হলেও তার সংখ্যা ছিল হাতে গোনা। কারন অফিস কাছারি ছিল বন্ধ। পরে তা খুললেও বেশিরভাগ যাত্রীই গণপরিবহণ ব্যবহার না করে বাইক, স্কুটি, সাইকেলে অফিস যাতায়াত করছেন। তাই যাত্রী হচ্ছিল না বাসে। কমছিল টিকিট বিক্রি। আর মানুষ ভাড়া দিলেও টিকিট নিচ্ছিলেন না। তাই নতুন টিকিট প্রয়োজনও হচ্ছে না। পুরনো টিকিটেই কাজ হচ্ছে। আগে কোনও ছাপাখানা থেকে মাসে যেখানে ২৬ থেকে ২৭ লক্ষ টিকিট বিক্রি হত সেখানে এখন মেরেকেটে লাখ পাঁচেক টিকিট বিক্রি হয়। ফলে সমস্যার সম্মুখীন ছাপাখানার মানুষগুলো।
অনেকেই এই ব্যবসা ছেড়ে অন্য কাজে চলে গিয়েছেন। বজবজে প্রায় ৩০ বছর ধরে এই কাজে যুক্ত ভাস্কর মাইতি। বলেন, “পূর্বপুরুষের ব্যবসা। কোনও ক্রমে চালাচ্ছি। বাবা আর আমি মিলে এখন অল্প কিছু কাজ করি। কর্মচারী রেখে কাজ করা অসম্ভব। রোজগার নেই কোনও। যে কোনও দিন বন্ধও হয়ে যেতে পারে।” বাস মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আগে যে সংখ্যক যাত্রী বাসে হত, এখন তো তার অর্ধেকের অর্ধেকও হয় না। ফলে টিকিটও বিক্রি হয় না”।