বাদল অধিবেশন শুরুর আগেই সংসদে আংশিক জয় বিরোধীদের। তৃণমূল এবং কংগ্রেসের যৌথ চাপে প্রশ্নোত্তর পর্ব আংশিক ফিরিয়ে আনতে বাধ্য হল সরকার। করোনার কারণে বাদল অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্ব রাখা হবে না বলে সংসদের কার্যসূচিতে জানিয়ে দেওয়া হতেই বিরোধিতায় নামে কংগ্রেস এবং তৃণমূল। সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে দুই বিরোধী দল। ফলে সরকার খানিক পিছু হঠে সম্মানজনক রফার পথে হাঁটল। বুধবার রাতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, মৌখিক প্রশ্নোত্তর পর্ব না থাকলেও সাংসদদের লিখিত প্রশ্নের লিখিত জবাব দেওয়া হবে।
করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবারে সংসদের অধিবেশন হবে ৪ ঘণ্টার। তাই সংসদ অধিবেশনের প্রথম ঘণ্টা অর্থাৎ কোশ্চেন আওয়ার পুরোপুরি ছেঁটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। এই এক ঘণ্টায় বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারপক্ষকে প্রশ্ন করার অধিকার পায় বিরোধীরা। এবং লিখিত হোক বা মৌখিকভাবে হোক, সরকার সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে বাধ্য থাকে। কিন্তু ১৯৫০ সালের পর এই প্রথমবার সংসদের অধিবেশনে কোনও কোশ্চেন আওয়ার থাকছে না বলে জানায় সরকারপক্ষ। স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ বিরোধীরা।
তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা তথা প্রধান জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন বিষয়টিতে ‘গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেন। কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরিও সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানান। শেষপর্যন্ত বিরোধীদের চাপের কাছে আংশিকভাবে হলেও সুর নরম করে সরকার। কেন্দ্র জানিয়ে দেয়, সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব না থাকলেও লিখিতভাবে বিরোধীদের প্রশ্ন শুনতে তাঁরা রাজি। এবং উত্তরও দেওয়া হবে লিখিতভাবে।
প্রসঙ্গত, আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে বাদল অধিবেশন। একটানা চলবে ১ অক্টোবর পর্যন্ত। অধিবেশনের প্রথমদিন লোকসভা এবং রাজ্যসভা উভয় কক্ষেই অধিবেশন সকাল ন’টা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত চলবে। বাকি দিনগুলিতে বেলা তিনটে থেকে সন্ধ্যে সাতটা পর্যন্তই অধিবেশন চলবে। শনি, রবিবারও বসবে অধিবেশন।