ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে আগেই বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। এবার সেখানেই থেমে না থেকে, সরাসরি খেলরত্ন পুরস্কার থেকেই রাজীব গান্ধীর নাম বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন কুস্তিগীর ববিতা ফোগট। সম্প্রতি জাতীয় ক্রীড়া দিবসে রাজীব গান্ধী খেলরত্ন পুরস্কার পেয়েছেন তাঁর বোন বীনেশ ফোগাট। তারপরই কী কারণে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর নাম এই পুরস্কারের সঙ্গে জড়িয়ে আছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। ববিতার এই মন্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
গত শনিবার বীনেশের পুরস্কার পাওয়ার দিনেই খেলরত্ন পুরস্কারের সঙ্গে কেন রাজীব গান্ধীর নাম জড়িয়ে রয়েছে সেই নিয়ে এক বিতর্কিত মন্তব্য করেন ববিতা। টুইট করে তিনি লেখেন, “ভারতে দাঁড়িয়ে ইতালিতে জ্যাভলিন ছোড়ার জন্যই কি রাজীব গান্ধীর নামে খেলরত্ন পুরস্কার দেওয়া হয়।” ববিতার এই মন্তব্য নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক। অনেকেই দাবি করেন, এভাবে একজন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করতে পারেন না তিনি।
যদিও বিতর্কের মুখে দমে যাওয়া তো নয়ই, বরং আরও আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে দেখা গেল গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়া এই কুস্তিগীরকে। তিনি দাবি করেন, খেলরত্ন পুরস্কার থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক রাজীব গান্ধীর নাম। কারণ তিনি ক্রীড়াক্ষেত্রের সঙ্গে কেউ নন। বরং ক্রীড়াক্ষেত্রের কোনও কিংবদন্তির নামে এই পুরস্কারের নাম রাখা যেতে পারে বলেই জানিয়েছেন তিনি।
একটি ভিডিও বার্তায় নিজে এমনটাই দাবি জানিয়েছেন ববিতা ফোগট। সেখানে তিনি বলেন, ক্রীড়াক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সম্মান এই খেলরত্ন। তাই অলিম্পিক, এশিয়ান গেমস বা কমনওয়েলথ গেমসে পদকজয়ী কোনও কিংবদন্তির নামে সম্মান দেওয়া যেতে পারে। তাতে যাঁরা এই পুরস্কার পাচ্ছেন, তাঁদের সম্মান আরও বাড়বে। আর রাজীব গান্ধী রাজনীতির দুনিয়ার লোক ছিলেন। তাই তাঁর নামে এই পুরস্কার দেওয়া উচিত নয় বলেই জানিয়েছেন তিনি। ববিতার এই মন্তব্য নিয়েও শুরু হয়েছে বিতর্ক।
অনেকেই তাঁর সমালোচনা করছেন। কেউ আবার বলছেন, খেলার দুনিয়া থেকে যেদিন রাজনীতির দুনিয়ায় তিনি পা রেখেছেন, সেদিন থেকেই নিজেকে ক্রীড়াবিদ বলার অধিকার হারিয়েছেন ববিতা। তাই তাঁর দাবিতে কিছু যায় আসে না। প্রসঙ্গত, এটাই প্রথমবার নয়, এর আগেও অনেকবার বিতর্কে জড়িয়েছেন এই কুস্তিগীর। মার্চ মাসে তবলিঘি জামাতের জমায়েত নিয়েও বিতর্কিত মন্তব্য করেন তিনি। করোনা সংক্রমণের জন্য এই জামাতের জমায়েতকে সরাসরি দায়ী করেন তিনি।