পূর্বসূচি মেনে ১ সেপ্টেম্বরই শুরু হয়েছে জয়েন্টের পরীক্ষা। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়েছে পরীক্ষার্থীদের। সেই কারণেই ফের মুখ্যমন্ত্রীর নিশানায় কেন্দ্র। বুধবার নবান্ন থেকে বললেন, ‘কেন্দ্রের জেদের কারণেই সমস্যায় পড়েছে পরীক্ষার্থীরা।’
বুধবার নবান্ন থেকে নিট ও জয়েন্ট ইস্যুতে আলোচনা করতে গিয়ে প্রথমেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি সংবাদমাধ্যমে দেখেছি বহু পরীক্ষার্থী পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে পারেনি। কারণ, বর্তমান সময়ে গণপরিবহন ব্যবস্থা আগের মতো নেই। ফলে সমস্যায় পড়তে হয়েছে কম বেশি সকলকে। বাধা পেরিয়ে কিছু সংখ্যক পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছে, কিন্তু সকলের পক্ষে তা সম্ভব হয়নি। ফলে তাঁদের বছর নষ্ট হল।’ এরপরই কেন্দ্রকে তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এত জেদ, এত অহং কেন? পরীক্ষীর্থীরা তো বলেনি পরীক্ষা বাতিল করতে। তাঁরা আবেদন করেছিল পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার। কারণ, বর্তমান পরিস্থিতিতে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনো যেমন সমস্যার। তেমনই থেকে যাচ্ছে সংক্রমণের ঝুঁকিও। কিন্তু কেন্দ্র তা মানল না।’ এরপরই প্রশ্নের সুরে প্রধানমন্ত্রীকে ইঙ্গিত করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কে আপনাকে অধিকার দিয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের বিপাকে ফেলার, ওদের ভবিষ্যত নষ্ট করার?’
প্রসঙ্গত, নিট ও জয়েন্ট ইস্যুতে বেশ কিছুদিন ধরেই টানাপোড়েন চলছিল। লকডাউনের মাঝে একাধিকবার পরীক্ষার দিন পরিবর্তন করার পর স্থির হয় যে, ১ থেকে ৬ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে জয়েন্ট। ১৩ সেপ্টেম্বর হবে নিট। কিন্তু বাংলা-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্য কেন্দ্রের কাছে পরীক্ষা পিছনোর আর্জি জানিয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীকে একাধিকবার চিঠিও দিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। পরবর্তীতে ৬ টি রাজ্য পরীক্ষা পিছনোর দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থও করেছিলেন। কারণ, বর্তমান পরিস্থিতিতে পরীক্ষা দিতে যাওয়া পড়ুয়াদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলেই মনে করা করেছিল তাঁরা।