নোটবন্দীর পর থেকেই দেশের অর্থনীতিতে ধস নেমেছিল। তারপর থেকে সরকার শুধু একের পর এক ভ্রান্ত নীতিই নিয়েছে। এভাবেই মোদী সরকারকে আক্রমণ করে টুইট করলেন রাহুল গান্ধী। পাশাপাশি প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও এদিন অভিযোগ করেছেন, দেশের অর্থনীতির বেহাল অবস্থার জন্য দায়ী কেন্দ্রীয় সরকার। তিনি এ কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, রাহুল ছ’মাস আগেই বলেছিলেন অর্থনীতিতে সুনামি আসতে চলেছে। আর এখন সে-কথাই সত্যি প্রমাণিত।
এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে দেশের অর্থনীতি যেভাবে সঙ্কুচিত হয়েছে, ’৯৬ সাল থেকে ত্রৈমাসিক রিপোর্ট প্রকাশ শুরু হওয়ার পর থেকে তা সর্বাধিক। সঙ্কোচনের মাত্রা ২৩.৯ শতাংশ। এর মধ্যে এদিন স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার গবেষক দল বলেছে, পুরো বছরে দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন (জিডিপি)-এর সঙ্কোচনের হার দাঁড়াতে পারে ১০.৯ শতাংশ। সহজ কথায়, গত অর্থবছরে (২০১৯-২০) জিডিপি যা ছিল ২০২০-২১ সালে তার থেকে জিডিপি ১০.৯ শতাংশ কমে যেতে পারে।
এদিকে, আগের ত্রৈমাসিকে অর্থনীতি প্রায় ২৪ শতাংশ সঙ্কুচিত হওয়ার পর প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম বলেছেন, সরকার যে সব রিলিফ প্যাকেজ তৈরি করেছিল তা হাস্যকর প্রমাণিত হয়েছে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন অর্থনীতির দুরবস্থার জন্য যেভাবে ঈশ্বরকে দায়ী করেছেন, তার সমালোচনা করে তিনি বলেন, মানুষের কাজের জন্য ঈশ্বরকে দায়ী করা উচিত নয়। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কে ভি সুব্রহ্মনিয়ন বলেছেন, লকডাউন তুলে নেওয়ার পর অর্থনীতি ঠিক সেভাবেই ফের ঘুরে দাঁড়াবে যেভাবে তার পতন হয়েছিল।