এটা বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশের সংসদ নাকি এম অ্যান্ড এস প্রাইভেট লিমিটেড? ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া বাদল অধিবেশন থেকে প্রশ্নোত্তর পর্ব ছেঁটে ফেলায় এভাবেই প্রতিক্রিয়া জানালেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা তথা প্রধান জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন।
বুধবার সকালে এই প্রসঙ্গে একটি টুইট করেছেন ডেরেক। গণতন্ত্রকে হত্যা করার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। টুইটে ডেরেক লিখেছেন, ‘কোনও সাংসদ যদি প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রশ্ন তুলতে চান, তাহলে ১৫ দিন আগে থেকে সেই প্রশ্ন সংসদে জমা দিতে হয়। ১৪ সেপ্টেম্বর অধিবেশন শুরু হচ্ছে। কিন্তু প্রশ্নোত্তর পর্ব বাতিল করা হয়েছে।’
ডেরেক ওব্রায়েনের অভিযোগ, বিরোধীরা সরকারকে প্রশ্ন করার অধিকার হারাচ্ছেন। ১৯৫০ সালের পরে এমনটা আর কখনও হয়নি। সংসদের কাজের সময় তো একই আছে। তাহলে কেন প্রশ্নোত্তর পর্ব বাতিল করা হল? ডেরেকের অভিযোগ, অতিমহামারীকে অজুহাত হিসাবে ব্যবহার করে সরকার গণতন্ত্রকে হত্যা করছে।
বাদল অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্ব ছেঁটে ফেলায় কথা বিরোধীদের জানানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংকে। সেই মতো তিনি কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদ ও অধীর চোধুরী, তৃণমূলের ডেরেক ও ব্রায়েন-সহ অন্যান্যদের ফোন করেছিলেন। সেখানে রাজনাথ জানান যে প্রশ্নোত্তর পর্ব থাকলে অধিবেশনে অনেক অফিসারদের উপস্থিত থাকতে হবে যারা মন্ত্রীদের পরামর্শ দেন কি উত্তর দিতে হবে সেই নিয়ে। তবে জিরো হাওয়ার চলবে, প্রশ্নোত্তর পর্ব না হলেও এই আশ্বাস দিয়েছেন রাজনাথ।
সরকারের এই যুক্তি মানতে নারাজ তৃণমূলের ডেরেক। তাঁর দাবি যে ভার্চুয়াল ভাবেও ব্রিফিং করা যায় মন্ত্রীদের। এর জন্য অফিসারদের আসার প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, ‘প্রশ্নোত্তর পর্ব হল বিরোধীদের কাছে মন্ত্রীদের থেকে কৈফিয়ত চাওয়ার সুযোগ।’ এরপরেই ডেরেক বলেন, ‘এটি সংসদ নয়, এম অ্যান্ড এস প্রাইভেট লিমিটেড হয়ে গেছে। ইঙ্গিতটি যে কেন্দ্রের শীর্ষ নেতাদের প্রতি, তা বলাই বাহুল্য।