ওয়েস্টার্ন অ্যান্ড সাউদার্ন ওপেনের ফাইনালে ১-৬, ৬-৩, ৬-৪ সেটে মিয়োস রাওনিচকে হারিয়ে ট্রফি জিতলেন নোভাক জোকোভিচ। তবে একইসঙ্গে সার্বিয়ান মহাতারকা পড়লেন রাফায়েল নাদাল ও রজার ফেডেরারের তোপের মুখে। খেলোয়াড়দের জন্য জোকোভিচের নতুন সংস্থা গড়ার প্রস্তাবে সায় দিলেন না নাদালরা। উল্টে অভিযোগ করলেন, এটা করায় খেলোয়াড়দের মধ্যে একতা নষ্ট হবে। এটিপি প্লেয়ার্স কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে নতুন সংস্থা তৈরি করছেন জোকোভিচ। তাঁর দাবি, নতুন সংস্থা আদৌ কোনও ইউনিয়ন নয়। সংস্থার নামকরণ করা হয়েছে, দ্য প্রফেশনাল টেনিস প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন। শুরুতে সেখানে যুগ্ম ভাবে প্রেসিডেন্ট পদে থাকছেন জোকোভিচ ও বাসেক পসপিসিল।
জোকোভিচের উদ্যোগের সরাসরি বিরোধিতা করে টুইটারে আরেক টেনিস তারকা নাদাল লিখেছেন, ‘‘গোটা বিশ্বে এখন কঠিন সময়। পরিস্থিতি খুবই জটিল। ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এই সময়টায় সবাইকে মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে। বিচ্ছিন্নতা নয়, এটা একজোট হয়ে একই লক্ষ্যে কাজ করার সময়।’’ যোগ করেছেন, ‘‘ঐক্যবদ্ধ থাকলে টেনিসে এখনও অনেক বড় কাজ করা সম্ভব। খেলোয়াড়, আয়োজক, প্রশাসক- সবাই মিলে এগোতে হবে। এখন বিভেদ, বিচ্ছিন্নতাটা সমাধান নয়।’’
অন্যদিকে, কোর্টে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েও ফেডেরার টুইটারে নাদালের মন্তব্যই তুলে দিয়েছেন। সঙ্গে লিখেছেন, ‘‘এখন অনিশ্চিত একটা সময় যাচ্ছে। সামনে অনেক পরীক্ষা। সঙ্কটময় এই পরিস্থিতিতে খেলোয়াড়দের ঐক্যবদ্ধ থাকতেই হবে। যাতে দুঃসময় কাটিয়ে ঠিক রাস্তায় এগোতে পারি।’’ শুধু নাদাল-রজার নন। টেনিস মহলে বলাবলি হচ্ছে, জোকোভিচ যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের ঠিক আগে খেলায় রাজনীতি আমদানি করলেন। পুরুষদের এক নম্বর তারকার প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে এটিপি ও ডব্লিটিএ-ও।