ভারতে যেভাবে কোভিড সংক্রমণের হার বাড়ছে, অনেকেই আশঙ্কা করছেন, এই দেশ বিশ্বে করোনার হটস্পট হয়ে উঠতে পারে। ফলে চলতি আর্থিক বছরে এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে ভারতের জিডিপিই সম্ভবত সবচেয়ে বেশি হারে কমতে চলেছে।
ভারতে এখন রোজ ৭০ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। দেশের জনসংখ্যা ১৩০ কোটি। তার মধ্যে ৩০ লক্ষের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অনেকেই মনে করছেন, অতিমহামারীর কবল থেকে বেরিয়ে আসা সহজ হবে না এদেশের পক্ষে। তাতে সময় লাগবে অনেক বেশি। সরকার ইতিমধ্যে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু তাতে খুব বেশি কাজ হয়নি। লক্ষ লক্ষ মানুষ কাজ হারিয়েছেন। বহু ব্যবসা দেউলিয়া হওয়ার মুখে দাঁড়িয়েছে।
৩১ আগস্ট কেন্দ্রীয় সরকার দেশের আর্থিক বিকাশ সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ করবে। শুক্রবার ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, জুন মাসে শুরু হওয়া ত্রৈমাসিকে জিডিপি কমতে পারে আগের বছরের তুলনায় ১৯.২ শতাংশ। ১৯৯৬ সাল থেকে ত্রৈমাসিক জিডিপি প্রকাশ শুরু হয়। তার পরে কখনই মোট জাতীয় উৎপাদনের হার এত কমেনি। ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, এশিয়ার বৃহৎ দেশগুলির মধ্যে ভারতের জিডিপি-ই সম্ভবত কমবে সবচেয়ে বেশি।
অতিমহামারী শুরুর আগেই ভারতের অর্থনীতি সংকটে পড়েছিল। ‘এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি’ হিসাবে পরিচিত ভারতের অর্থনীতির বিকাশের গতি হয়ে আসছিল ধীর। ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়ার প্রবণত কমছিল। সেই সঙ্গে কমছিল ভোগ্যপণ্যের চাহিদা। অতিমহামারী ঠেকাতে মার্চের শেষ থেকে শুরু হয় লকডাউন। অর্থনীতি বড় ধাক্কার মুখে পড়ে। প্রায় সব ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। লক্ষ লক্ষ শ্রমিক শহর ছেড়ে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। এর ফলে চার দশকে প্রথমবার বার্ষিক জিডিপি কমার সম্ভাবনা দেখা দেয়। ব্লুমবার্গের এক সমীক্ষায় জানা যায়, চলতি আর্থিক বছরে ভারতের জিডিপি কমতে পারে ৫.৬ শতাংশ।