পাইকারি বাজারে আলুর দাম কেজি প্রতি ২২ টাকার বেশি নেওয়া যাবে না বলে রাজ্য সরকার জানিয়েছে। কোথাও এর থেকে বেশি দামে আলু বিক্রি করলে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। নবান্নে আজ ক্রমবর্ধমান আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যবসায়ী সংগঠন গুলিকে বৈঠকে ডাকা হয়। সেখানেই সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার পাইকারি বাজারে আলুর দাম কমানোর ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। কারণ পাইকারি বাজারে আলুর দাম কমলে খুচরো বাজারে তার প্রভাব পড়বে।
কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় অন্তত আলুর দাম যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে সেই কারণেই শুক্রবার নতুন করে আলু ব্যবসায়ীদের এই বার্তা দেয় রাজ্য সরকার। সেখানেই আগামী সপ্তাহের মধ্যে সময়সীমা বেঁধে জানিয়ে দেওয়া হয়, প্রতি কিলো জ্যোতি আলুর দাম ২২ টাকার মধ্যে নামিয়ে আনতেই হবে। খুচরো বাজার অনুযায়ী আলুর মূল দাম ধরতে হবে কিলো প্রতি ২৩-২৫ টাকা। বাকি দু’টাকা জ্বালানি খরচ বাবদ নেওয়া যাবে। তার বেশি দাম নিলে পাইকারি আলু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
টানা বৃষ্টির পর রাজ্যে বর্তমানে আলুর কিলো ৩৫ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। বারংবার বৈঠক করেও এই দাম নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। এদিন নবান্নের পক্ষ থেকে স্পষ্ট ব্যবসায়ীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ২২টাকার বেশি দরে আলু বিক্রি করা যাবে না। আগামী সপ্তাহের মধ্যে এই দাম নিয়ন্ত্রণ না করলে পাইকারি আলু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রশাসনের কর্তারা।