তাঁর উত্থান বদলে দিয়েছে ভারতে মহিলা টেনিসের গতিপথ। বিশ্বের সেরা ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় একসময় ছিলেন টেনিস সুন্দরী। এশিয়ান গেমস, কমনওয়েলথ গেমস, অ্যাফ্রো-এশিয়ান গেমসে ছয় সোনা-সহ রয়েছে ১৪ পদক। সানিয়া মির্জার কৃতিত্ব নিছক পরিসংখ্যানে মাপা যাবে না।
বিশ্বজুড়ে মহামারির প্রকোপ। এরমধ্যে এক্সারসাইজে নিজেকে ব্যস্ত রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন সানিয়া। তিনি জানালেন, “এটা হতাশা কাটিয়ে ইতিবাচক রাখবে মনকে। এখানে পজিটিভ থাকা, পজিটিভ ভাবনা জরুরি। নেতিবাচক কিছু মনে রাখলে চলবে না। আমাদের সবাইকে এখন একজোট হয়ে থাকতে হবে”।
টোকিও অলিম্পিক পদকের কথা মাথায় সব সময়ই ঘুরছে তার। দেশের জন্য অলিম্পিক পদক জিততে অবশ্যই মরিয়া সানিয়া। তিনি বলছেন, “আমরা, টেনিস খেলোয়াড়রা শুধু একটা প্রতিযোগিতার কথা মাথায় রেখে তৈরি হই না। আরও অনেক প্রতিযোগিতা থাকে। অলিম্পিকের আগে অন্য প্রতিযোগিতাও থাকে তৈরি হওয়ার জন্য। তবে অলিম্পিকের দিকে যত এগোতে থাকব, তত ওই দিকে ফোকাস রাখব। এখনই শুধু অলিম্পিককে পাখির চোখ করছি না। ধীরে ধীরে মন দেব সে দিকে”।
সানিয়া মির্জা অনেক টেনিস প্লেয়ারদের কাছেই প্রেরণা। ইয়াং জেনারেশনের কাছে প্রেরণা হতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করেন টেনিস সুন্দরী। তিনি এই ব্যাপারে জানালেন, “অনেকের কাছে প্রেরণা হয়ে উঠতে পারা বিশাল ব্যাপার। এটা আমার কাছে একটা বিরাট প্রাপ্তি। তবে রোল মডেল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বও আসে। আপনারা জানেন, আমি খুব কম বয়স থেকেই টেনিস খেলছি। যখন থেকে আমাকে তরুণদের কাছে রোল মডেল বলে তুলে ধরা হতে থাকল, তখনও আমার বয়স খুব কম। তাই শিখতে শিখতেই এগিয়েছি। যে জায়গায় আসতে পেরেছি তাতে আমি সম্মানিত, গর্বিত”।