আগামী ৩ নভেম্বর হতে চলেছে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আর সেই দিন যত এগিয়ে আসছে ততই চড়ছে মার্কিন মুলুকে রাজনৈতিক উত্তাপ। এবং সেইসঙ্গে মেজাজ হারাচ্ছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেন যাঁকে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনীত করেছেন, সেই কমলা হ্যারিসকে এবার ‘অযোগ্য’ বলে বসলেন তিনি। এমনকি যোগ্যতার নিরিখে কমলার মেয়ে ইভাঙ্কা ঢের এগিয়ে বলে দাবি করলেন ট্রাম্প।
আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে একটা সময় জো বাইডেনের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন কমলা হ্যারিস। ডেমোক্র্যাট বিতর্কসভায় এক সময় জনসমক্ষে বাইডেনকে খুবই কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন তিনি। কিন্তু জনপ্রিয়তা ও সমর্থনের দৌড়ে পিছিয়ে পড়ে গত বছর নির্বাচন থেকে তিনি সরে দাঁড়ান। তার পর পুরনো আঘাত সরিয়ে রেখে, আসন্ন নির্বাচনকে পাখির চোখ করে তাঁকে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে বেছে নেন বাইডেন। আর তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে রিপাবলিকান শিবির। শুক্রবার নিউ হ্যাম্পশায়ারে ট্রাম্পের বক্তৃতায় যার আভাস স্পষ্ট ধরা পড়ল। জো বাইডেনের বদলে সেখানে কমলা হ্যারিসকেই লাগাতার আক্রমণ করতে দেখা গেল তাঁকে।
একদিন আগেই আনুষ্ঠানিক ভাবে রিপাবলিকান শিবিরের মনোনয়ন গ্রহণ করেন ট্রাম্প। তার পর শুক্রবার সপরিবারে রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেশনে যোগ দেন। সেখানে সমর্থকদের সামনে কমলা হ্যারিসকে তীব্র আক্রমণ করে বলেন, ‘আমিও চাই কোনও মহিলা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হোন। কিন্তু উনি (কমলা) যে ভাবে প্রেসিডেন্সিয়াল পদ পাওয়ার জন্য এগোচ্ছিলেন, সে ভাবে কোনও মহিলাকে দেখতে চাই না আমি। উনি একেবারেই যোগ্য নন।’
ট্রাম্প এই মন্তব্য করার পরেই তাঁর সমর্থকরা ইভাঙ্কার নামে স্লোগান দিতে শুরু করেন। তাতে ট্রাম্প বলেন, ‘দেখুন সকলেই বলছেন, আমরা ইভাঙ্কাকে চাই। আমি আপনাদের দোষ দিচ্ছি না।’ এর পর কমলাকে আক্রমণ করে ট্রাম্প বলেন, ‘ওঁর কী যোগ্যতা? সৌন্দর্য? হ্যাঁ উনি সুন্দরী বটে। কিন্তু ওরা এমন এক জন মহিলাকে বেছে নিয়েছে, যিনি প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে প্রচার তো ভাল ভাবেই শুরু করেছিলেন। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যেই তাঁর জনপ্রিয়তা ক্রমাগত নামতে থাকে। তাতেই উনি জানিয়ে দেন, আমি সরে যাচ্ছি। আসলে ভোট পাবেন না জেনেই সরে গিয়েছিলেন। উনি যদি আপনাদের প্রেসিডেন্ট হতেন, ভয়ঙ্কর রকমের খারাপ প্রেসিডেন্ট হলেন।’