কোভিড পরিস্থিতিতে ট্রেন চলাচল কবে শুরু হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে রেল চলাচল শুরু হলে হাওড়া ও শিয়ালদহ ডিভিশনের যাত্রীদের জন্যে থাকছে এক গুচ্ছ নিয়ম কানুন। বিশেষ করে অটোমেটিক থার্মাল স্ক্যানার ব্যবস্থা এবং সামাজিক দুরত্ব যাতে বজায় থাকে সেটা করে দেখানোই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ রেলের কাছে। শিয়ালদহ ডিভিশনের তরফে জানানো হয়েছে, রেল চলাচল শুরু হলেও বন্ধ থাকবে স্টেশনের দোকান।
স্টেশন চত্বরে ঢুকতে দেওয়া হবে না কোনও হকারকেই। এই বিষয়ে নজরদারি চালাবে রেল রক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা। অপরদিকে, হাওড়া ডিভিশনে শহর ও শহরতলির রেল যাতায়াতের ক্ষেত্রে, বাধা তিনটি স্টেশনের ভিড়। এই তিনটি স্টেশনে দূরত্ব-বিধি বজায় রাখা-সহ অন্যান্য সতর্কতা মানতে হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। করোনা আবহে লোকাল ট্রেন কবে চলবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ট্রেন চালানোর অনুমতি মিললে কিভাবে ট্রেন চলবে তা নিয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশিকা প্রকাশ না পেলেও ভাবনা চিন্তা শুরু করে দিয়েছে পূর্ব রেলের দুই ডিভিশন।
কোভিড মিটে যাওয়ার পরেও আগের মতোই রেলে যাত্রী হবে না বলেই মনে করছে দুই ডিভিশনের কর্তারা। শিয়ালদহ ডিভিশনের ডি আর এম শৈলেন্দ্র প্রতাপ সিং জানিয়েছেন, ‘রেল চলাচল শুরু হলে শহরতলির স্টেশনেও দোকান খুলতে দেওয়া হবে না। কারণ দোকান খুললে সেখানে ভিড় হবে। জমায়েত হবে। তার থেকে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। তাই আমরা বন্ধ রাখব দোকান।’ একই সাথে তাদের চিন্তা বাড়িয়েছে, ট্রেনের মধ্যে যদি হকার উঠে পড়ে। তাহলে সমস্যা আরও বাড়বে। এই বিষয়ে টিটিই ও রেল রক্ষী বাহিনীর সদস্যদের নজর রাখতে বলেছেন ডিভিশনের কর্তারা। অন্যদিকে, হাওড়া ডিভিশনের তিনটি স্টেশন নিয়ে চিন্তায় রেল কর্তৃপক্ষ।
হাওড়ার ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার ঈশাক খান জানিয়েছেন, ‘আমরা পরিষেবা শুরু করার যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। মূলত, হাওড়া, ব্যান্ডেল এবং বর্ধমান স্টেশনের ভিড় নিয়ে আমরা চিন্তিত।’ এই তিন স্টেশনের দূরত্ব-বিধি বজায় রাখা-সহ অন্যান্য সতর্কতা মানতে তাঁরা রাজ্যের সাহায্য চাইছেন। হাওড়া – বর্ধমান শাখার মেন লাইনে বর্ধমান এবং ব্যান্ডেল থেকে প্রতিদিন অসংখ্য যাত্রী কলকাতায় যাতায়াত করেন। শুধু বর্ধমান স্টেশন থেকেই সাধারণ সময়ে প্রতিদিন এক লক্ষের বেশি যাত্রী টিকিট কাটতেন। ব্যান্ডেল স্টেশনে এই সংখ্যা প্রায় ৫৫ হাজারের কাছাকাছি। হাওড়া স্টেশনে টিকিট বিক্রির সংখ্যা ছয় লক্ষের কাছাকাছি। ফলে এই স্টেশনগুলির কথা মাথায় রেখেই হাওড়া ডিভিশনে বিশেষ গ্যালোপিং ট্রেন চালানোর কথা ভাবছেন তারা।