গোমাতার প্রতি উদাসীন ছিল মধ্যপ্রদেশের কমলনাথ সরকার। সেখানে কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকাকালীন এমইন অভিযোগ এনেছিল মধ্যপ্রদেশের শিবরাজ সিংয়ের সরকার৷ তাই এবার বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরই ‘গো মাতার’ রক্ষণাবেক্ষণে তারা ফের নজর দিয়েছে৷ ২০২০-২১ অর্থবর্ষে প্রাণীসম্পদ বিকাশ মন্ত্রকের জন্য ১১ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে মধ্যপ্রদেশের শিবরাজ সিং সরকার৷ সরকারের বরাদ্দ করা এই ১১ কোটি টাকা থেকেই রাজ্য সরকারের এই মন্ত্রকের গরুদের রক্ষণাবেক্ষণ, বছরভর তাদের খাবারের জোগান, বায়ো গ্যাস ও ভার্মি কমপোস্টের কারখানার যাবতীয় খরচ মেটাবে৷ কিন্তু হিসেব করে দেখা যাচ্ছে রাজ্যে প্রায় ১ লক্ষ গরুর দেখভালের জন্য এই টাকা অত্যন্ত কম৷
হিসেব করে দেখা যাচ্ছে প্রায় রাজ্যে ১৩০০ আশ্রয়স্থলে থাকা প্রায় ১ লক্ষ ৮ হাজার গরুর খাবারের জন্য মাথা পিছু প্রতিদিন ১টাকা ৬০ পয়সা বরাদ্দ করা হয়েছে৷ ভোপালের এক গো প্রতিপালক রমেশ মালভিয়ার মতে, প্রতিদিন একটি গরুর খাবারের জন্য ২০০ থেকে ২৫০ টাকা খরচ হয়৷ সেখানে ১ টাকা ৬০ পয়সায় কী খাওয়ানো হবে গরুদের? মধ্যপ্রদেশের পশুপালক মন্ত্রী প্রেম প্যাটেল এপ্রসঙ্গে জানিয়েছেন, তিনি রাজ্যের অর্থমন্ত্রীর জগদীশ দেবড়ার সঙ্গে কথা বলেছেন এই মন্ত্রকের ফান্ড আরও বাড়ানোর জন্য৷ কারণ গো মাতার জন্য তারা ভীষণ চিন্তিত৷
প্রসঙ্গত, ভোপাল থেকে ১৯০ কিলোমিটার দুরে আগর মালওয়ায় ভারতের মধ্যে প্রথম গরুদের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অভয়ারণ্য ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে তৈরি করেছিল বিজেপি সরকার। ৪৭২ হেক্টর জমি জুড়ে এই বিশাল অভয়ারণ্যে ৪ হাজার গরু থাকে। ডিসেম্বর থেকে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস শাসনের শুরু হয়। মুখ্যমন্ত্রী হন কমলনাথ৷ তারপরেই কংগ্রেস সরকারের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয় ৪ হাজার গরুদের খরচ আর সরকার নিতে পারবে না৷ সেইসময় মধ্যপ্রদেশে বিজেপির মুখপাত্র রজনীশ আগরওয়ালের অভিযোগ ছিল, ‘বিজেপির সব কাজেই কংগ্রেসের আপত্তি। তাই তারা আমাদের কাজগুলিকে বন্ধ করে দিতে চাইছে।’ কিন্তু বিজেপি ফের ক্ষমতায় এসে গরুর কি এমন রক্ষনাবেক্ষণ শুরু করল, যে মাথাপিছু প্রতিদিন খরচ ধরা হয়েছে মাত্র ১ টাকা ৬০ পয়সা! এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় হাসাহাসিও শুরু করেছে বিরোধীরা।