করোনা পরিস্থিতিতে জয়েন্ট ও নিট পিছনোর দাবিতে সরব রাজনীতির অন্দরমহল। সেই জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টেও। মোট ছ’টি রাজ্য ইতিমধ্যেই দেশের সর্বোচ্চ আদালতে আবেদনও জানিয়েছে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানেও এবার এই ইস্যুতে সুর চড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গায়ের জোরে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলেই তোপ দাগেন তিনি।
কোভিড পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। হু হু করে বাড়ছে সংক্রমিতের সংখ্যা। এছাড়া চলতি মাসেও গণপরিবহণ বন্দোবস্ত যথাযথ নয়। এখনও বন্ধ রয়েছে ট্রেন ও মেট্রো পরিষেবা। ফলে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে বর্তমানে যথেষ্ট বেগ পেতে হবে পড়ুয়াদের। তাছাড়া বহু ভোগান্তি শিকার হয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছলেও আশঙ্কা থাকছে সংক্রমণের। তাই পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে জয়েন্ট ও নিট পিছনোর দাবিতে সরব বাংলা-সহ ছ’টি রাজ্য। শুক্রবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান থেকেও সেকথাই জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্র সরকার নিশানা করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ‘গায়ের জোরে পরীক্ষার সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে দেশের ভয়াবহ পরিস্থিতি। মন কি বাত বলছেন কিন্তু কে শুনছে সেকথা তা জানতে চাইছেন না কখনও।’ আইআইটিগুলিতে পরীক্ষা না নিয়ে কেন নিট, জয়েন্ট করা হচ্ছে, সেই প্রশ্নও কেন্দ্রকে করেন তিনি।
কেন্দ্রের পাশাপাশি গেরুয়া শিবিরকেও তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গেরুয়া শিবিরের নেতানেত্রীদের কুকথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু বিজেপি নেতা যে কোন ভাষায় কথা বলেন তা আমি মুখেও আনতে পারব না। রাজনীতির বিরুদ্ধে রাজনীতির প্রতিশোধ না করে ভয় দেখানো হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওরা যা দেখাচ্ছে মনে রাখবেন তা ঠিক নয়। যত নির্বাচন এগিয়ে আসবে, এগুলো ওরা করবেই।’
মুখ্যমন্ত্রী এদিন সাফ জানিয়ে দেন আপাতত স্কুল খুলছে না। তবে রাজ্যের আওতাধীন কলেজগুলিতে কবে পরীক্ষা হবে, সে বিষয়ে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই সিদ্ধান্ত শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জানিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এলাকার পরীক্ষাকেন্দ্র কিংবা অনলাইনে যাতে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়, সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা করার কথাও বলেছেন তিনি।