তখন সবে সকাল ৬টা। হঠাতই কান ফাটানো গুলির শব্দ! তড়িঘড়ি করে সকলে এসে দেখেন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় খোদ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে পড়ে এক পুলিশকর্মী! যিনি তাঁরই বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে এমনই ঘটনা ঘটেছে মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়ির সামনে নিরাপত্তা কর্মীদের জন্য নির্দিষ্ট কিয়স্কে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই পুলিশকর্মী এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে ৬টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। গুলির শব্দ পেয়ে সকলে ছুটে এসে দেখেন কিয়স্কে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন সশস্ত্র পুলিশের কনস্টেবল দিনেশ কর্মকারকে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, গোটা মুখ রক্তে ভেসে যাচ্ছিল ওই পুলিশকর্মীর। তড়িঘড়ি তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর অস্ত্রপচার করা হয়েছে। গুলি লেগেছে ওই পুলিশকর্মীর গালে। গুলি বের করা হয়েছে। এখন তিনি স্থিতিশীল। যদিও এখনও রক্তপাত হচ্ছে। রক্তপাত বন্ধ হলে তাঁকে হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে স্থানান্তরিত করা হবে।
ঘটনাটি ‘অ্যাক্সিডেন্টাল ফায়ার’ বলেই ধারণা পুলিশের। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, দীনেশ কর্মকার ওই কিয়স্কে কর্তব্যরত ছিলেন। বুধবার রাতে তিনি ডিউটিতে ছিলেন। সকালে ডিউটি পরিবর্তনের সময়ে ঘটনাটি ঘটেছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ কর্তাদের একাংশের অনুমান, ডিউটি পরিবর্তনের সময়ে আগ্নেয়াস্ত্রর গুলির ম্যাগাজিন খুলে তবে সেই আগ্নেয়াস্ত্র পরবর্তীতে যে ডিউটিতে যোগ দেবেন তাঁকে দেওয়া নিয়ম। সেই ম্যাগাজিন খোলার সময়ে অসতর্কতাতেই গুলি চলে যায় বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তবে গোটা ঘটনার তদন্তের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছেন, অন্য পুলিশকর্মী যাঁরা মোতায়েন ছিলেন তাঁদের বয়ান রেকর্ড করা হচ্ছে। বাড়ানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তাও।