ধীরে ধীরে গোটা বিশ্বে তুমুল গতিতে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল চাইনিজ বিনোদন অ্যাপ টিকটক। কিন্তু জুন মাসের পর থেকেই হঠাৎ ছন্দপতন শুরু হয়। মূলত ভারত ও আমেরিকাতেই বিপাকে পড়েছে বাইটডান্সের মালিকাধীন এই সংস্থা। এবার প্রতিষ্ঠাতা ঝ্যাং ইমিং জানিয়েছেন যে, তাঁরা দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন। যাতে ফের ব্যবসা শুরু করা যায়। বাইটডান্সের কর্মীদের লেখা চিঠিতে এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইমিং।
টিকটকের চিফ এক্সিকিউটিভ কেভিন মেয়ারের ইস্তফার পরেই প্রতিষ্ঠাতার লেখা এই চিঠি জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়। লাদাখ সীমান্তে ভারত-চীন যুদ্ধ হওয়ার পরই গোটা দেশজুড়েই চাইনিজ দ্রব্য বয়কটের ডাক দেওয়া হয়। বয়কট করা হয় বেশ কয়েকটি চাইনিজ অ্যাপও। তারপরেই টিকটক বন্ধ হয়ে যায় ভারতে। প্রায় একই পরিণতি হওয়ার পথে টিকটকের আমেরিকার ব্যবসাও। এই নিয়ে কর্মীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। সংস্থার ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। সেই কারণেই চিঠি লিখলেন টিকটকের প্রতিষ্ঠাতা।
৩৬ বছর বয়সী ঝ্যাং বলেন যে সারা বিশ্ব জুড়ে বিশেষত ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেই সমস্যা তাঁদের সামনে এসেছে, সেটা দ্রুত মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি বলেন যে, এই সংক্রান্ত খুব বেশি বলতে পারবেন না, কিন্তু এটা বলতে পারি যে সবার স্বার্থরক্ষা করার চেষ্টা করছে বাইটডান্স।
গালওয়ান সঙ্ঘর্ষের পর, গত ২৯ জুন টিকটক-সহ একগুচ্ছ চীনা অ্যাপ ব্যান করেছে ভারত। অন্যদিকে, আমেরিকায় ট্রাম্পের রোষে পড়েছে টিকটক। আমেরিকান রাষ্ট্রপতি চান যে বাইটডান্স যেন টিকটকের আমেরিকার ব্যবসা ওই দেশের কোনও সংস্থার কাছে বিক্রি করে দেয়। এই নিয়ে চলছে বিতর্ক। মার্কিন সরকারের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করেছে টিকটক। এসবের মধ্যেই সংস্থার কর্মীদের ভয় কাটাতে, তাঁদের উদ্বুদ্ধ করতে চিঠি লিখলেন টিকটক প্রতিষ্ঠাতা ঝ্যাং ইমিং।