করোনার আবহে একেই আর্থিকভাবে সমস্যায় রয়েছেন অনেকে, তার মধ্যেই দাম বৃদ্ধি করে সাধারণের ওপর চাপ বাড়াতে চলেছে উত্তরপ্রদেশ পাওয়ার কর্পোরেশন। বৈদ্যুতিক নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে গোপনে পাঠানো একটি প্রস্তাবে প্রতি ইউনিটে বিদ্যুতের দাম পরিবর্তনের কথা বলেছে এই সংস্থা। প্রস্তাব অনুসারে, বর্তমানের ৮০টি বিদ্যুতের স্ল্যাব কমিয়ে ৫৩-এ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এতে বিপিএল বাদে শহুরে বাসিন্দাদের জন্য ৩ টি স্ল্যাব এবং বাণিজ্যিক, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য ২ টি স্ল্যাব তৈরি করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে ভারী শিল্পের স্ল্যাবে কোনও পরিবর্তন হবে না। বিদ্যুতের হারের স্ল্যাব পরিবর্তন শহুরে গ্রাহকদের পকেটে বোঝা চাপিয়ে দেবে। এতে বিদ্যুতের বিল ৩ থেকে ৪ শতাংশ বাড়ানো হতে পারে। আপাতত রেগুলেটরি কমিশনের আওতায় রয়েছে এই প্রস্তাব, তারাই পরিবর্তনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, বর্তমান প্রস্তাবটি পরোক্ষভাবে সব স্তরের গ্রাহকদের ওপর চাপ বাড়াবে৷ তবে কিছুটা হলেও সেই চাপ থেকে দূরে থাকবেন ভারী শিল্পের সঙ্গে যুক্তরা। বর্তমানে গার্হস্থ্যদের জন্য চারটি স্ল্যাব রয়েছে, এটিকে কমিয়ে তিনটি স্ল্যাব করার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। একইভাবে, বাণিজ্যিক স্তরে গ্রামীণ এলাকায় আনমিটার স্ল্যাবগুলি কম করতে, ২ কিলোওয়াটের জায়গায় নতুন ৪ কিলোওয়াট স্ল্যাবের প্রস্তাব করা হয়েছে। শহরতলীতে বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে একটি স্ল্যাব কমিয়ে করা হয়েছে দু’টি। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য দুটি স্ল্যাব প্রস্তাবিত হয়েছে। একটি ২০ কিলোওয়াট এবং অন্যটি এর থেকে বেশি লোডের জন্য।
স্টেট ইলেক্ট্রিসিটি কনজিউমার্স কাউন্সিল এই বিদ্যুতের হারের স্ল্যাব পরিবর্তনের প্রস্তাব নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে। রেগুলেটরি কমিশনের কাছে ঘুর পথে বিদ্যুতের হার বাড়ানোর অভিযোগ তুলেছে কাউন্সিল৷ এভাবে নিয়ম বদলের ফলে বিপুল দাম বাড়বে বিদ্যুতের, যা সাধারণের জন্য সমস্যা তৈরি করবে বলে মত কাউন্সিলের৷ এই স্ল্যাবের পরিবর্তনের দাবি ঠেকাতে একটি জনস্বার্থ মামলা করার কথা ভাবনা চিন্তা করছেন কাউন্সিলের সভাপতি৷