লাদাখ সীমান্তে চীন এবং ভারতের সংঘর্ষের পর দুই দেশেই একটা যুদ্ধ যুদ্ধ আবহ তৈরি হয়েছিল। অন্যদিকে, চীনের মদতপুষ্ট পাকিস্তানও পরোক্ষভাবে আন্তর্জাতিক মহলের ভারতের বিরোধিতায় জোর দিয়েছিল। এই প্রেক্ষিতে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং মন্তব্য করলেন, চীনের সঙ্গে কোন প্রকার যুদ্ধ হলে সেখানে পাকিস্তানও জড়িয়ে যাবে। সেই কারণে ভারতের সেনাবাহিনীর আরো শক্তি বৃদ্ধির প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
সেনাবাহিনীকে আরো বেশি শক্তিশালী করে তুলতে সরকারকে সঠিক ভাবে ভাবতে হবে। আমরা যদি শক্তিশালী হয়ে যাই, তাহলে কেউ আক্রমণ করার আগে অন্তত তিনবার ভাববে। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই সিডিএস বিপিন রাওয়াত স্পষ্টভাবে জানিয়ে ছিলেন, চীনের সঙ্গে ভারতের যে আলোচনা চলছে তাতে যদি কোন সমাধান সূত্র না বেরিয়ে আসে তাহলে সেনাবাহিনী একমাত্র রাস্তা। তাঁর ইঙ্গিতপূর্ণ এই মন্তব্যে পরিষ্কার, যুদ্ধে লিপ্ত হতে ভাববে না ভারত।
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, এই প্রথম লাদাখ সীমান্তে ঝামেলা করতে আসেনি চীন। এর আগে ১৯৬২ সালে ও সেখানে দখল করার জন্য এসেছিল তারা। কিন্তু এখন আমরা অনেক ভালো জায়গায় রয়েছি। চীন যদি মনে করে আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অনায়াসে জিতে যাবে, সেটা তাদের ভুল ধারণা। ভারত চীন কে প্রতিহত করতে সবদিক দিয়ে সক্ষম। কিন্তু পাকিস্তানের পিছনে যেহেতু চীনের মদত রয়েছে, তাই তাদের সঙ্গে কোনো রকম যুদ্ধে লিপ্ত হলে পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে ভূমিকা নেবে। সেই কারণেই আমাদের দেশের সেনা বাহিনীকে আরো শক্তিশালী করে তুলতে হবে বলে মত পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর।