কোভিডের মধ্যে বিশেষ সতর্কতা নিয়ে ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে সংসদে মরশুম অধিবেশন শুরু হচ্ছে। চীন থেকে কোভিড, কেন্দ্রকে কোণঠাসা করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে বিরোধীরা। সাংসদীয় বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটি সুপারিশ করেছে যে ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর অবধি যেন অধিবেশন চলে।
এই চলতি মরশুমে ১১টি অর্ডিন্যান্স বিল হিসাবে পাশ করাতে চায় কেন্দ্র। সংসদ শুরু হওয়ার আগে রণনীতি ঠিক করবে কংগ্রেস, জানিয়েছেন অধীর চৌধুরী। অন্যদিকে তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা তথা প্রধান জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও ব্রায়েন জানিয়েছেন যে তারা জিরো হাওয়ার ও কোয়েশ্চেন আওয়ার রাখার পক্ষে। দিনে চার ঘণ্টা আলোচনা হলে দুই ঘণ্টা বিরোধীদের সমস্ত ইস্যু তুলতে দিতে হবে বলে জানান তিনি। কতটা সময় আলোচনার জন্য দেওয়া হবে, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ডিএমকে ও আরজেডিও। মোটের ওপর যেই সব ইস্যুগুলি নিয়ে কেন্দ্রেকে চেপে ধরবে বিরোধীরা সেগুলি হল- চীনের লাল চক্ষু- ঠিক কী অবস্থা এখন, কেন চীন সরছে না, পরবর্তী পদক্ষেপ কি নেওয়া হবে লাদাখে, সামগ্রিক ভাবে পড়শি দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক, সবকিছু নিয়েই অধিবেশনে আলোচনা হবে।
কোভিড ও অর্থনীতি- যে ভাবে লকডাউনের জেরে বেকারত্ব বাড়ছে, সেই নিয়ে আক্রমণের মুখে পড়বে কেন্দ্র, ইঙ্গিত দিয়েছেন বিরোধীরা। কেন সরকার করোনার কেস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারল না, সেই নিয়ে উত্তপ্ত হতে পারে অধিবেশন।
অর্থনৈতিক মন্দা- বিরোধীদের মতে অর্থনীতির হাঁড়ির হাল ও সেটিকে চাঙ্গা করতে সরকার কিছু করেনি। আরজেডি-র মনোজ ঝা মনে করেন যে অর্থনীতি মরেই গিয়েছে। এক তৃণমূল সাংসদ বলেন যে সরকারকে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য একটি রোডম্যাপ দিতে হবে। নয়তো চলবে না। ইয়েচুরির দাবি হল যে করোনার আগেই অর্থনীতির স্বাস্থ্য অত্যন্ত রুগ্ন ছিল।
অর্ডিন্যান্সের মাধ্যেম সরকার চালানোর অভিযোগ- গত কয়েক মাসে ১১ টি অধ্যাদেশ জারি করেছে কেন্দ্র। পিএম কেয়ার্স থেকে জাতীয় শিক্ষা নীতি, সবই অধ্যাদেশ। তৃণমূলের অভিযোগ অর্ডিন্যান্স রাজ চালাচ্ছে কেন্দ্র। অন্যদিকে কাশ্মীর ইস্যু কংগ্রেস তুলবে বলে জানিয়েছে কংগ্রেস।
যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাতের অভিযোগ- করোনা আক্রান্ত রাজ্যদের সাহায্য করেনি কেন্দ্র ও জিএসটি ক্ষতিপূরণ এখনও দেয়নি মোদী সরকার, এই দুই অভিযোগ তুলবে বিরোধীরা।