‘স্পুটনিক ভি’ ভ্যাকসিন নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা শুরু হল মঙ্গলবার। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সচিব রাজেশ ভূষণ বলেন, “স্পুটনিক ফাইভ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে প্রাথমিক তথ্য আদান প্রদান হয়েছে। এখন বিশদ তথ্যের অপেক্ষা।”
স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, বৈঠকে রাশিয়া ভ্যাকসিন নিয়ে ভারতের সঙ্গে কাজ করতে যে আগ্রহী তা বলা হয়েছে এবং স্পুটনিক ফাইভ সংক্রান্ত বহু তথ্যই তারা দিয়েছে। কিন্তু ভ্যাকসিনের সুরক্ষা এবং কার্যকারিতা সম্পর্কিত যে তথ্য ভারত চাইছে, তার অধিকাংশই দেওয়া হয়নি। ভারতের তরফে রাশিয়াকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সুরক্ষা ও কার্যকারিতা সংক্রান্ত তথ্য জরুরি।
ভারতে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত নিকোলাই কুদাসেভ ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের প্রিন্সিপাল সায়েন্টিফিক অ্যাডভাইসার প্রফেসর কে বিজয়রাঘবন, আইসিএমআরের ডিজি বলরাম ভার্গব এবং কেন্দ্রীয় বায়োটেকনোলজি দফতরের সচিব রেণু স্বরূপের কার্যালয়ে গিয়ে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন।
ভ্যাকসিন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে বলরাম ভার্গব বলেন, “ভারতে তিনটি ভ্যাকসিন অ্যাডভ্যান্সড স্টেজে রয়েছে। আরও তিনটি ক্লিনিক্যাল স্টেজে রয়েছে। সেরাম ইনস্টিটিউট-এর ভ্যাকসিনটি তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে। ভারত বায়োটেকের ভ্যাকসিনটি দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছে এবং ক্যাডিলার ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় পর্যায় খুব শীঘ্রই শুরু হবে। এই সবগুলিই দু’-ডোজের ভ্যাকসিন। প্রথম ডোজের ১৪ বা ২৮ দিন পরে দ্বিতীয় ডোজটি দেওয়া হবে। এই ১৪ থেকে ২৮ দিনের মধ্যে অ্যান্টিবডি তৈরি হল কিনা দেখা হবে।” তবে কবে নাগাদ ভ্যাকসিন আসতে পারে তা নিয়ে এদিন ভার্গব কিছু না বললেও কেন্দ্রের তরফ থেকে চলতি বছরের শেষের দিকেই ভ্যাকসিন আনার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে।