করোনা সংক্রমণ এখনও দিন দিন বেড়েই চলেছে দেশে। গত ১৯ দিন ধরে বিশ্বে সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে ভারত। এই অবস্থায় আগামী মাসে অল ইন্ডিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং বা জয়েন্ট এন্ট্রান্স ও মেডিক্যালের প্রবেশিকা পরীক্ষা বা নিট হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছে অনেক রাজ্যের সরকার। এমনকি চিঠি লিখে সিদ্ধান্ত বদলেরও আর্জি জানিয়েছে তারা। তার মাঝেই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের কারণ ব্যাখ্যা করলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক। বললেন, পড়ুয়া ও অভিভাবকদের ক্রমাগত চাপেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আগামী মাসে ভারতে জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগজামিনেশন (জেইই) ও ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এনট্রান্স টেস্ট (নিট) হওয়ার কথা। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের পরেই বিতর্কের মাঝে ডিডি নিউজকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জয়েন্টের জন্য ফর্ম ফিল আপ করা ছাত্র-ছাত্রীদের ৮০ শতাংশ ইতিমধ্যেই নিজেদের অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করে নিয়েছেন। রমেশ পোখরিয়াল বলেন, ‘আমরা ক্রমাগত পড়ুয়া ও অভিভাবকদের চাপে ছিলাম। তাঁরা জিজ্ঞাসা করছিলেন, কেন আমরা জয়েন্ট ও নিট পরীক্ষার অনুমতি দিচ্ছি না? ছাত্র-ছাত্রীরা চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন। তাঁরা তাঁদের পড়াশোনার ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করছিলেন।’
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘জয়েন্টে এবছর বসবেন ৮ লাখ ৫৮ হাজার ছাত্র-ছাত্রী। তার মধ্যে ৭ লাখ ২৫ হাজার ছাত্র-ছাত্রী ইতিমধ্যেই নিজেদের অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করে নিয়েছেন। আমরা ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গেই রয়েছি। তাঁদের সুরক্ষা আমাদের কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। তারপরে তাঁদের শিক্ষা।’
কেন্দ্রের জবাবের পরেও কিছু ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক ও শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত বিশেষজ্ঞরা এই সিদ্ধান্ত নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, সংক্রমণ বৃদ্ধির এই সময়ে এই পরীক্ষা নেওয়া মানে ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাস্থ্য নিয়ে ছেলেখেলা করা। প্রশ্ন তুলেছেন জলবায়ু নিয়ে আন্দোলনকারী গ্রেটা থুনবার্গও। টুইট করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে এই পরীক্ষা স্থগিত করার দাবি তিনি জানিয়েছেন। শুধু করোনা সংক্রমণ নয়, অসম, বিহার, গুজরাত, ছত্তীসগড়, কেরল, কর্নাটক, উত্তরপ্রদেশ প্রভৃতি রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে পরীক্ষার বন্দোবস্ত করা খুবই সমস্যার। যদিও নিজেদের সিদ্ধান্ত থেকে সরতে নারাজ কেন্দ্র।