করোনা-লকডাউনে ধাক্কা খাওয়া অর্থনীতিকে আরও বেশি আর্থিক সহায়তা দিতে হবে। না হলে বাজারে চাহিদা বাড়তে সময় নেবে আরও বেশি। এবার স্পষ্ট এ কথা জানিয়ে দিল ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কের অ্যানুয়াল রিপোর্টে বলা হয়, ‘জুনে শেষ হওয়া ত্রৈমাসিকের মূল্যায়ন করে দেখা গিয়েছে, চাহিদার ওপরে অতিমহামারীর প্রভাব পড়েছে সাংঘাতিক। কোভিড শুরু হওয়ার আগে বাজারে যে চাহিদা ছিল, সেই অবস্থায় ফিরে যেতে এখনও অনেক সময় লাগবে।’
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, বাজারে ব্যক্তিগত চাহিদা কমেছে। পরিবহণ, হোটেল শিল্প, বিনোদন ও সাংস্কৃতিক কার্যকলাপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সবচেয়ে বেশি। অন্যদিকে, ব্লুমবার্গের অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, আগামী দিনে কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেট ঘাটতি হবে জিডিপি-র ৭.২ শতাংশ। গত ফেব্রুয়ারি মাসে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ঘাটতি যে পর্যায়ে বেঁধে রাখার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছিলেন, বাস্তবে ঘাটতি তার চেয়ে বাড়বে।
প্রসঙ্গত, অর্থনীতি নিয়ে বুধবারই কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, মিডিয়া যদি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু থেকে মানুষের নজর ঘুরিয়ে দিতে চায়, তার ফল গরিবের পক্ষে ভাল হবে না। মিডিয়া যদি অর্থনৈতিক সংকটের কথা না লেখে, তা হলেই সেই সংকট শূন্যে মিলিয়ে যাবে না। আমি গত কয়েক মাস ধরে যা বলে আসছি, এবার সে কথাই স্বীকার করে নিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
উল্লেখ্য, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অর্থনীতি সংকুচিত হবে। তার কারণ তিনটি। প্রথম কারণই করোনা অতিমারি। দ্বিতীয়ত বর্ষায় স্বাভাবিক বৃষ্টি হয়নি। আর আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতেও দেখা গিয়েছে অস্থিতিশীলতা। ২০০টি দেশে করোনার প্রকোপে বিশ্ব অর্থনীতির বিকাশ হয়ে পড়েছে স্তব্ধ। সেজন্য আমাদের দেশেও বিকাশের হার কমবে। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘২০১৯-২০ সালে ব্যাঙ্কনোটের সরবরাহ ছিল তার আগের বছরের তুলনায় ২৩.৩ শতাংশ কম। কোভিড অতিমারি ও লকডাউনের ফলে সরবরাহ হ্রাস পেয়েছিল।’