দেশের অর্থনীতি নিয়ে ফের মোদী সরকারের একদফা সমালোচনা করলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। মঙ্গলবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, করোনা অতিমহামারীর জন্য সংকুচিত হবে দেশের অর্থনীতি। সেকথা উল্লেখ করে টুইটে রাহুল গান্ধী লিখলেন, সংবাদ মাধ্যমের দ্বারা ‘বিভ্রান্তি’ ছড়িয়ে আখেরে গরিবদের কোনও লাভ হবে না। আর্থিক মন্দা কাটানোও যাবে না।
কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতির কথায়, ‘আমি গত কয়েক মাস ধরে যা বলে আসছি, এবার সেকথাই স্বীকার করে নিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। সরকারের এখন বেশি করে খরচ করতে হবে। ধার নয়।’ আরও লিখলেন, ‘গরিবদের হাতে টাকা দাও। শিল্পপতিদের কর ছাড় নয়। তাতেই ভোগ বাড়বে। ঘুরে দাঁড়াবে অর্থনীতি।’
মঙ্গলবারই বার্ষিক রিপোর্ট দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। তাতে দেশের অর্থনৈতিক অচলাবস্থার কথা তুলে ধরেছে। জানানো হয়েছে, লকডাউনের কড়াকড়ি কিছুটা শিথিল হওয়ার পর, মে–জুন মাসে জাতীয় অর্থনীতির উন্নতির সামান্য লক্ষণ চোখে পড়েছিল। কিন্তু জুলাই–আগস্টে নতুন করে কিছু বিধিনিষেধ জারি হওয়ায় তা ফের থমকে গিয়েছে। ফলে গড় জাতীয় উৎপাদনের সঙ্কোচন চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকেও বহাল থাকবে। অর্থাৎ ২০২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
এর সঙ্গে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, কোভিড পরিস্থিতি যত দিন না ঠিক হচ্ছে এবং যত দিন না লোকে আবার কেনাকাটা শুরু করছে, তত দিন সরকারকেই অর্থনীতির চাহিদা ও জোগানের ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। কারণ, লকডাউনের কারণে অর্থবর্ষের প্রথমার্ধ জুনে গড় জাতীয় উৎপাদনের সঙ্কোচন চলতেই থাকবে।
অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে নিদানও দিয়েছে আরবিআই। বলেছে, দেশের ব্যাঙ্কগুলি থেকে লগ্নির আশা না করে বিকল্প হিসেবে এবার বিদেশি লগ্নির দিকে তাকানো উচিত। এই কথা আগে বলেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। এবার আরবিআই-এর রিপোর্ট প্রকাশের পর কেন্দ্রকে খুঁচিয়ে দিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও।