২০০৮ ও ২০১০-র আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। তারপরেও ২০১১ সালের আইপিএল নিলামে অবিক্রিত ছিলেন বাংলার মহারাজ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এমনকী কলকাতার দলও তাঁকে রিটেন করেনি কিংবা নিলামেও তাঁকে কেনেনি। অবিক্রিত থাকার পর পরবর্তীতে পুনে ওয়ারিয়র্সে সুযোগ পান তিনি। কিন্তু এই ঘটনায় সেইসময় তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছিল বাংলায়। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক, বাংলা ক্রিকেটের অন্যতম আইকনকেই দল থেকে বাদ দেওয়া নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেছিলেন ক্রিকেট ভক্তরা।
অবশেষে ৯ বছর পর সেই বিষয়ে মুখ খুললেন কেকেআর সিইও বেঙ্কি মাইসোর। স্পষ্ট জানালেন, সৌরভকে বাদ দেওয়ার জন্য কখনওই তাঁকে দোটানায় ভুগতে হয়নি। তাঁর কাছে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া জলের মতোই সহজ ছিল। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গে মুখ খোলেন বেঙ্কি মাইসোর। সেখানেই তিনি বলেন, ‘‘আমি এটাকে দু’টো ভাগে ভাগ করতে চাই। ব্যক্তিগতভাবে, আমার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়াটা কখনওই কঠিন ছিল না। কারণ আমি তখনও সৌরভের সঙ্গে অতটা জড়িত ছিলাম না। যদি আমি কেকেআরের সঙ্গে এক, দুই বা তিন বছর ধরে থাকতাম, তাহলে ওই সিদ্ধান্তটা নেওয়া আমার পক্ষে খুব কঠিন হত।’’
এরসঙ্গেই তিনি যোগ করেন, ‘‘সৌরভকে না নেওয়ার সিদ্ধান্তটা পুরোপুরি আমার ছিল। আমি বাইরে থেকে এসেছিলাম। তাই এই সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হয়নি। কারণ টিম ম্যানেজমেন্ট এবং দলের মালিকদের তরফে এটা ভাবা এবং করা অনেক বেশি কঠিন ছিল।’’ প্রসঙ্গত, প্রথম ৩ বছর কেকেআরের হয়ে খেললেও আশানুরূপ কোনও পারফরম্যান্স পাওয়া যায়নি সৌরভের থেকে। অন্যদিকে, ২০১১ সালে ১১.০৪ কোটি টাকা দিয়ে গৌতম গম্ভীরকে কেনে নাইটরা। তাঁকেই দেওয়া হয় অধিনায়কের দায়িত্ব। ওই বছরেই প্রথমবার আইপিএলের শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছিল কলকাতার দলটি। পরের বছর ২০১২ সালে প্রথমবার টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়নও হয় কলকাতা নাইট রাইডার্স।