করোনা পরিস্থিতি নিয়ে চীনকে বারবার হুঁশিয়ারি দিয়েছে আমেরিকা। এমনকী, বেজিংয়ের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপেরও হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। লাদাখে ড্রাগনের ‘আগ্রাসন’-এর কড়া নিন্দা করেছেন মার্কিন আধিকারিকরা। পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বাণিজ্য চুক্তি আলোচনাও। এমন পরিস্থিতিতে সেই বাণিজ্য চুক্তি বাস্তবায়িত করতে দুদেশের মধ্যে ফোনে একপ্রস্থ কথা হল। বেজিংয়ের দাবি, বাণিজ্য চুক্তির প্রথম পর্যায় বাস্তবায়িত করা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে কথা হয়েছে। দ্রুত তা বাস্তবায়িত করতে আগ্রহী দু’দেশেই। এরপরই আমেরিকার চীন বিরোধী মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
বিশ্বব্যাপী মহামারী ছড়ানো নিয়ে চীনের দিকে বারবার আঙুল তুলেছে আমেরিকা। কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। চলতি মাসের গোড়ার দিকে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আলোচনাও পিছিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। সেই আলোচনাই এবার সেরে ফেলল চীন। বেজিংয়ের দাবি, বাণিজ্যচুক্তি কার্যকর করা নিয়ে সোমবার দু’দেশের প্রতিনিধির মধ্যে আলোচনা হয়। জানা গিয়েছে, চীনের প্রতিনিধি লিউ হে-র সঙ্গে আমেরিকার বাণিজ্য প্রতিনিধি রবার্ট লিথিজার ও ট্রেজারি সেক্রেটারি স্টিভেন মুচিনের ফোনে কথা হয়। দু’পক্ষই দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এগিয়ে নিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে। জানুয়ারিতে স্বাক্ষরিত বাণিজ্যচুক্তির প্রথম পর্যায় কার্যকর করতে উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিতে সহমত হয়েছে দুদেশ। সেই লক্ষ্যে পদক্ষেপ করতেও চলেছে তারা। যদিও এ বিষয়ে হোয়াইট হাউসের তরফে এখনও কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
বেজিং আরও জানিয়েছে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করা নিয়ে সদার্থক আলোচনা হয়েছে। দুদেশের মধ্যে বাণিজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যেতেও সহমত হয়েছে প্রতিনিধিরা। প্রসঙ্গত, প্রতি ছমাস অন্তর এই বাণিজ্যচুক্তি পুনর্বিবেচনা করা হয়। চলতি মাসের গোড়াতে তা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা থাকলেও, ট্রাম্পের নির্দেশে তা পিছিয়ে গিয়েছিল। জানুয়ারি মাসে স্বাক্ষরিত হওয়া এই চুক্তি অনুযায়ী, বেজিং আগামী দুবছরে আমেরিকার থেকে অতিরিক্ত ২০০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য কিনবে।