গত পরশু ১ বছরের বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরের নেতা ওমর আব্দুল্লাহ। আর তারপরই ভূস্বর্গের বিশেষ মর্যাদা ফেরাতে জোট বাঁধছে সেখানকার কেন্দ্র সরকার বিরোধী দলগুলি। আপাতত পারস্পরিক বিরোধিতা বাতিল করে তারা পাখির চোখ করেছে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদাকে। সেই জোটে রয়েছে কংগ্রেসও। প্রসঙ্গত, গত বছর আগস্ট মাসে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ করেছে কেন্দ্র সরকার। তারপর থেকেই গোপনে জোট বাঁধার কাজ শুরু করেছে দলগুলি।
এই জোটে রয়েছে, কাশ্মীরের ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি, পিপলস কনফারেন্স এবং আওয়ামি ন্যাশনাল কনফারেন্স। এক যৌথ বিবৃতিতে তাঁরা জানিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ফিরে পাওয়ার জন্য তাঁদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই চলবে। সেই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে, ২০১৯ সালে জম্মু-কাশ্মীরের প্রতিটি আঞ্চলিক দল ও কংগ্রেস সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, বিশেষ মর্যাদা লোপের বিরুদ্ধে তারা একজোট হয়ে লড়াই করবে। ওই সিদ্ধান্ত ‘গুপকার ডিক্লারেশন’ নামে পরিচিত। আগামী দিনে কাশ্মীরের সব দলই তা মেনে চলবে।
কংগ্রেস অবশ্য ইতিমধ্যে গুপকার ডিক্লারেশনের থেকে দূরত্ব তৈরি করেছে। কাশ্মীরের কংগ্রেস প্রধান জি এ মির বলেন, “গতবছর আমরা গুপকার ডিক্লারেশনে সই করেছিলাম ঠিকই, কিন্তু তারপরে পরিস্থিতির অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আমরা জম্মু-কাশ্মীরকে ফের রাজ্যে পরিণত করার পক্ষে।” সূত্রের খবর, কাশ্মীরের আঞ্চলিক দলগুলির নেতারা এতদিন গোপনে জোট গড়ার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। তাঁরা গত কয়েকদিনে গোপন বৈঠকও করেছেন বলে জানা যাচ্ছে।
জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি এখনও জন নিরাপত্তা আইনে বন্দী রয়েছেন। সেই অবস্থাতেই তিনি টুইট করে তাঁর দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী ফারুক আব্দুল্লাহর প্রশংসা করেন। সঙ্গে লেখেন, “এখন সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে দিল্লীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ফিরিয়ে আনতে হবে।”