দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিগত কয়েক বছর ধরেই এমন অপরাধ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। জোর করে ‘জয় শ্রী রাম’ বলানো হচ্ছে কোনও এক ব্যক্তিকে। এবং তারপরেই তাঁকে ধরে গণপিটুনি। ইতিমধ্যেই এরকম একাধিক ঘটনায় উত্তাল হয়েছে গোটা দেশ। বিরোধীদের প্রশ্নবাণে জর্জরিত হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবুও এই অপরাধে লাগাম টানা যায়নি। গতকাল ফের এমনই ঘটনা ঘটল খাস উত্তর ২৪ পরগনার দমদমে।
সূত্রের খবর, ‘জয় শ্রী রাম’ বলতে তাঁকে জোর করা হয়েছিল। তবে বলপূর্বক সেই কথা বলতে চাননি তৃণমূল কর্মী। সেই ‘অপরাধে’ই এবার তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হল দমদম মাঠকলের ঝিল অ্যাভিনিউ। এরপরই দমদম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত সেই তৃণমূল কর্মী। এই ঘটনায় এখনও অবধি কেউ গ্রেফতার হয়নি। তবে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব এই মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
প্রহৃত ওই তৃণমূল কর্মী শুভঙ্কর তালুকদার অন্যান্য দিনের মতো গতকাল সকালেও পাড়ার চায়ের দোকানে গিয়েছিলেন। সেখানে এসে তাঁকে বেশ কয়েকজন ‘জয় শ্রী রাম’ বলতে বলে। তা নিয়ে তাঁদের সঙ্গে শুভঙ্করবাবুর বচসা বেঁধে যায়। তবে চায়ের দোকানেই মিটে যায় অশান্তি। কথাবার্তা শেষ করে বাড়িও চলে যান প্রত্যেকে। অভিযোগ, সন্ধে নাগাদ স্থানীয় কয়েকজন বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতী তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়।
বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় তারা। এমনকী শুভঙ্করবাবুর বৃদ্ধ বাবাকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা জড়ো হতেই পালিয়ে যায় সেই বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গতকালই আইনের দ্বারস্থ হন মাঠকলের ওই প্রহৃত তৃণমূল কর্মী। রাতেই তিনি দমদম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তবে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। পুলিশ ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে।