সুরাপ্রেমীদের জন্য সুখবর। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে হয়তো ১ সেপ্টেম্বর থেকেই নির্দিষ্ট নিয়মবিধি মেনে রাজ্যে খুলে যেতে পারে বার ও পাব। পাশাপাশি, রেস্তোরাঁতেও মদ বিক্রির উপর যে নিষেধাজ্ঞা তাও উঠে যেতে চলেছে। তবে মানতে হবে কঠোর নিয়মবিধি। একইসঙ্গে ওই একই দিন থেকে রাজ্যে বেশ কিছুটা কমতেও চলেছে মদের দাম। ফলে ভরা ভাদ্রে সুরাপ্রেমীদের একেবারে পৌষমাস।
তবে সবকিছুই এখনই প্রাথমিকস্তরে রয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। এই নিয়ে নির্দিষ্ট গাইডলাইন করে, সবদিক খতিয়ে দেখে তবেই সরকার এই সিদ্ধান্ত নেবে বলেই সূত্রের খবর। তবে রেস্তোরাঁর মালিকপক্ষের কথায়, মদ বিক্রি না করলে ব্যবসা চালানোই দুষ্কর হয়ে যাচ্ছে। এভাবে বেশিদিন ব্যবসা চালানো সম্ভব নয়। সরকারি হিসেবে রাজ্যে বর্তমানে এই ধরনের বারের সংখ্যা প্রায় সাতশো। কলকাতায় এই সংখ্যা সাড়ে তিনশোর কিছু বেশি।
রাজ্য আবগারি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে ইতিমধ্যেই শহরের বড় ক্লাব, বার ও রেস্তোরাঁর মালিকদের নিয়ে একদফা বৈঠক হয়েছে। সেখানে তাঁদের ৩১ অগস্টের মধ্যে মদ তুলে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, কীভাবে বার খোলা যায় তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সেই কারণেই মনে করা হচ্ছে, পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর হয়তো সেপ্টেম্বর থেকে নিয়মবিধি মেনে খুলে যেতে পারে রেস্তোরাঁ ও বার। জানা গিয়েছে, মোট আসন সংখ্যার অর্ধেক করে দেওয়া, রাত ৯টার পর বন্ধ করে দেওয়া, শনি-রবি ও অন্যান্য ছুটির দিন বন্ধ রাখা এরকম একাধিক শর্ত দিয়েই বার খুলতে পারে রাজ্য সরকার।
অন্যদিকে, আবগারি দফতর সূত্রে খবর করোনার কারণে সবরকম মদের উপর যে ৩০ শতাংশ কোভিড কর লাগু করা হয়েছিল, সেই নিয়ম ১ সেপ্টেম্বর থেকে উঠে যেতে চলেছে। এর পরিবর্তে পুরনো দামের উপর এক্স ব্রিউয়ারি ও এক্স ডিস্টিলারির কিছু পরিমাণ সারচার্জ লাগু করে নতুন দামে মদ বিক্রি করা হবে। ফলে এখানে আর এমআরপি বলে কোনও দাম থাকবে না। তবে জানা গিয়েছে, এই ক্ষেত্রে পুরনো দামের চেয়ে নতুন দাম ১৩-২০ শতাংশের মতো বেশি হতে পারে।
ফলে লকডাউনের মধ্যে যে দামে মদ কিনতে হয়েছে সুরাপ্রেমীদের, তার হয়তো কিছু ভার লাঘব হবে। জানা গিয়েছে বিয়ারের ক্ষেত্রে ১৬টি স্ল্যাব ও হুইস্কি, রাম কিংবা ভদকার উপর ২০-এর বেশি স্ল্যাব থাকবে। মূলত মদের দামের উপর ভিত্তি করে এই স্ল্যাব। তার উপর অতিরিক্ত যে চার্জ তা যুক্ত হবে। তবে সবমিলিয়েও তা বর্তমান দামের চেয়ে বেশ কিছুটা কমই হবে বলে মনে করা হচ্ছে।