সম্প্রতি মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকে জাতীয় শিক্ষা নীতির যে খসড়া জমা পড়েছে, সেখানে প্রস্তাব রয়েছে দেশের সব রাজ্যেই অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত হিন্দী ভাষা পড়ানো বাধ্যতামূলক করা হোক৷ যাকে কৌশলে অহিন্দীভাষী রাজ্যগুলির ওপরে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা বলেই মনে করছে বিরোধীরা। এই আবহেই এবার কেন্দ্রীয় আয়ুশ মন্ত্রকের সচিব বিদ্যা রাজেশ কোটেচার অপসারণের দাবিতে সরব হলেন ডিএমকে নেত্রী তথা সাংসদ কানিমোঝি। তাঁর অভিযোগ, সম্প্রতি আয়ুশ মন্ত্রকের একটি ট্রেনিং সম্পর্কিত বৈঠকে অ-হিন্দিভাষীদের অসম্মান করেছেন সচিব। ওই বৈঠকে যেসব অ-হিন্দি ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন, অর্থাৎ যারা হিন্দী বোঝেন না, তাদের বেরিয়ে যেতে বলেছিলেন তিনি। শনিবার নিজের টুইটারে এই বিস্ফোরক অভিযোগ জানিয়ে কোটেচার বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী তদন্তের দাবি জানিয়েছেন কানিমোঝি।
শনিবার টুইটে তামিলনাড়ু থটুকুড়ি কেন্দ্রের সাংসদ লিখেছেন, ‘কেন্দ্রীয় আয়ুশ মন্ত্রকের ট্রেনিং চলাকালীন সচিব বিদ্যা রাজেশ কোটেচার মন্তব্য- যারা হিন্দী বলতে পারেন না তারা ছেড়ে বেরোতে পারেন; এটাই প্রমাণ করে যে হিন্দি সবার উপর কী পরিমাণে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা খুবই নিন্দনীয় বিষয়।’ পরবর্তী একটি টুইটে কানিমোঝি আরও লেখেন, ‘ওই সচিবকে কেন্দ্রীয় সরকারের বরখাস্ত করা উচিত এবং ওর বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থাও নেওয়া উচিত। যারা হিন্দী জানে না তাদের বাদ দেওয়ার এই স্বভাব কতদিন সহ্য করা হবে?’ প্রশ্ন করেন তিনি। কানিমোঝির এই দাবির স্বপক্ষে সুর চড়িয়েছেন আরেক সাংসদ কার্তি চিদম্বরমও। তিনি টুইটে লিখেছেন, ‘হিন্দীতে আয়ুশ ট্রেনিংয়ে তামিলনাড়ুর অতিথিদের এড়িয়ে যাওয়া হল। ইংরেজি না জানলে বোঝা যেত। কিন্তু, যারা হিন্দী জানে না তাদের বেরিয়ে যেতে বলার এই ঔদ্ধত্ব কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’