এই মুহূর্তে দেশে করোনা ভাইরাসের তিনটি ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে৷ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু করেছে পুণের সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া৷ অন্যদিকে, ভারত বায়োটেক এবং জাইডাসের তৈরি ভ্যাকসিন দু’টি প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রাথমিক স্তরে রয়েছে৷ জানা গিয়েছে, ভ্যাকসিন বাজারে আসা মাত্রই প্রথম দফায় অন্তত ৫০ লক্ষ ডোজ ক্রয়ের পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ মূলত চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানদের মতো যাঁরা সামনের সারিতে থেকে করোনার বিরুদ্ধে লড়ছেন, সবার প্রথমে তাঁদের জন্যই এই ভ্যাকসিন কেনা হবে৷
প্রসঙ্গত, এ বছরের শেষ দিক বা আগামী বছরের শুরুতেই কয়েক সপ্তাহের ফারাকে একাধিক ভ্যাকসিন বাজারে আসার কথা৷ টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, ভ্যাকসিন বাজারে আসার পরই দ্রুত তা কীভাবে বড় অংশের জনসংখ্যার কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়, তা নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই রূপরেখা তৈরি করছে কেন্দ্র৷ যাঁদের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা সবথেকে বেশি, প্রতিষেধক দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁদেরকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে৷
ভারতে ভ্যাকসিনের চাহিদা কী রকম থাকতে পারে, তা সরকারের কাছে জানতে চেয়েছিল বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিন উৎপাদনে যুক্ত কয়েকটি ওষুধ সংস্থা৷ গত সোমবার নীতি আয়োগের সদস্য বি কে পাল এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণের নেতৃত্বে দেশে করোনা পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে বিশেষজ্ঞ কমিটির সঙ্গে ওষুধ নির্মাতা সংস্থাগুলির বৈঠক হয়৷ ওই বৈঠকে সংস্থাগুলি কী পরিমাণ ভ্যাকসিনের ডোজ উৎপাদনে সক্ষম, প্রতিষেধকের সম্ভাব্য দাম এবং সরকার কীভাবে সংস্থাগুলিকে সাহায্য করতে পারে, সেই প্রস্তাব জমা দেওয়ার জন্য সংস্থাগুলিকে অনুরোধ করা হয়েছে৷ সূত্রের খবর, প্রয়োজনে ভ্যাকসিনের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য আর্থিক সহায়তাও করবে কেন্দ্র৷