ট্রেন আগামীকাল। ট্রেন ধরতে আসতে হবে ফারাক্কা থেকে। তাই বৃহস্পতিবার রাত থেকেই হাওড়া স্টেশনে এসে বসে আছেন রেজাউল মন্ডল। রেজাউলের মতই আরও অনেকে যারা আসলে পরিযায়ী শ্রমিক তারা এভাবেই অপেক্ষা করছেন স্টেশনের বাইরে। অনেকে আবার কনফার্ম টিকিট হাতে পেয়ে স্টেশনে এসে জানতে পেরেছেন ট্রেন বাতিল। বাতিল হয়েছে, এই এসএমএস পর্যন্ত পাননি। ফলে তারাও ভীষণ বিপাকে পড়েছেন।
রাজ্যে পূর্ণ মাত্রায় লকডাউন চলছে। ফলে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার এই রাজ্য থেকে কোনও ট্রেন চলবে না আগেই জানিয়ে দিয়েছিল রেল। যদিও একাধিক যাত্রীদের অভিযোগ তাদের কোনও এসএমএস দেওয়া হয়নি। ফলে না জেনেই স্টেশনে এসে বিপাকে পড়ে গিয়েছেন যাত্রীরা।
এখন ট্রেনের টিকিট কাটতে হয় আইআরসিটিসি অ্যাপ মারফত। কাউন্টার থেকে টিকিট কাটা হচ্ছে না। সংরক্ষিত টিকিট না থাকলে ট্রেনে ওঠা যাবে না। ফলে যারা স্টেশনে এসে জানতে পারলেন তাদের ট্রেন বাতিল হয়েছে তারা চরম সমস্যায় পড়েছেন। ফরাক্কার বাসিন্দা জয় প্রকাশ ঠাকুর। সেকেন্দ্রাবাদে কাজ করতেন। লকডাউনের কারণে ফেরত চলে আসেন। আবার ফেরত যাচ্ছেন সেকেন্দ্রাবাদে। ফরাক্কা থেকে কাজে যোগ দেওয়ার জন্যে তিনি আসেন। হাওড়া স্টেশনে এসে জানতে পারেন ট্রেন বাতিল। ফলে হতাশ তিনি। জয় প্রকাশ ঠাকুর বলেন, ‘প্রথমত এমন পরিস্থিতিতে আমার আসার টাকা অনেকটাই খরচ হয়ে গেল। আমাকে স্টেশনে ঢুকতে দিচ্ছে না। বাড়ি ফেরার কোনও রাস্তা নেই। স্টেশনেও থাকতে দিচ্ছে না। খাবার, পানীয় জল কিছুই নেই। এবার আমি কি করব?’
আইআরসিটিসি’র গ্রুপ জেনারেল ম্যানেজার দেবাশীষ চন্দ্র জানিয়েছেন, ‘সকলের কাছেই এসএমএস যাওয়ার কথা। সিআরআইএস মারফত সফটওয়্যার নিয়ন্ত্রণ হয়। রেল ট্রেন বাতিল হলে অটোমেটিক এসএমএস পাঠিয়ে দেয়। কেন সেটা হয়নি তা দেখতে হবে। মানুষের অসুবিধার জন্য দুঃখিত।’