বিজেপি সাংসদরা ফেসবুকে অহরহ হিংসার বানী ছড়াচ্ছে। তবুও তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না ফেসবুক। গত কয়েকদিন আগে মার্কিন সংবাদপত্র ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’-এর এই একটি রিপোর্ট রীতিমতো ঝড় তুলে দিয়েছে ভারত সহ বিশ্ব রাজনীতিতে। রাহুল গান্ধী দাবি করেছেন, ভারতে ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপ বিজেপি ও আরএসএস মিলে কন্ট্রোল করছে এবং এর মাধ্যমে তাঁরা ঘৃণা ছড়াচ্ছে। এই প্রেক্ষিতেই কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে ডেকে পাঠিয়েছেন আলোচনার জন্য। যা বিজেপি একেবারেই ভালোভাবে নেয়নি। শশীকে সংসদীয় কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবিও তোলা হয়েছে স্পিকার ওম বিড়লার কাছে।
বিজেপির বেশ কয়েকজন নেতা ও সাংসদ লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে শশী থারুরের নামে এদিন নালিশ করেছেন। তাঁদের দাবি, তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির প্রধান হয়ে শশী ফেসবুককে তলব করেছেন, অথচ কারোর সঙ্গে আলোচনাও করেননি। বিজেপি সাংসদদের না জানিয়ে এই নিয়ে টুইট করে ও ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে তলব করে শশী ভুল কাজ করেছেন বলে দাবি করেছেন শাসকদলের সদস্যরা। একই কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিং রাঠৌর স্পিকারকে লিখেছেন, “শশী থারুর আইন লঙ্ঘন করেছেন।”
যারা যারা এই নালিশ করেছেন সেই তালিকায় গোড্ডা লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ নিশিকান্ত দুবেরও নাম রয়েছে। তবে ফেসবুককে সমন করায় বিজেপির এই ‘আঁতে ঘা’ বিষয়টিকে বেশ সন্দেহের চোখেই দেখছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। রাঠৌর যদিও স্পিকারকে দেওয়া চিঠিতে লিখেছেন, “যে সংস্থাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে, তাঁদের কোনও প্রতিনিধির বিরুদ্ধে আমরা নই। তবে শশী থারুর আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করে সংবাদমাধ্যমে সেটা আলোচনা করেছেন। তাই আমরা এর বিরুদ্ধে স্পিকারের কাছে আবেদন করেছি।”