যোগী রাজ্যে নারীসুরক্ষার হাল যে ক্রমশই আরও খারাপ হচ্ছে প্রতিদিন, বারবারই মিলছে তাঁর প্রমাণ। কখনও উন্নাওয়ের আসিফা-কাণ্ড বা বিজেপি বিধায়কের বাড়ি চাকরি চাইতে যাওয়া কিশোরীকে নিগ্রহ, তো কখনও আবার তরুণীকে গণধর্ষণ বা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর হাতে আইনের ছাত্রীর শ্লীলতাহানী-ধর্ষণ — এমনই নানা ঘটনার জেরে বারবারই খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে উত্তরপ্রদেশ। এই করোনা পর্বেও বজায় রয়েছে সেই ধারা। এবার এক ডাক্তারি ছাত্রীর ক্ষতবিক্ষত দেহ মিলল সেখাবে। বুধবার সকালে কলেজ ক্যাম্পাসের কয়েক কিলোমিটার দূরে মেলে আগ্রার এস এন মেডিক্যাল কলেজের স্নাতকোত্তর পর্বের ওই ছাত্রীর দেহ।
মঙ্গলবার বিকেল থেকেই তাঁর কোনও খোঁজ মিলছিল না। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এক চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, ২৫ বছরের ওই মেডিক্যাল ছাত্রীর দেহে বেশ কয়েকটি গভীর ক্ষত রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে এটি খুনের ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। মঙ্গলবার সকালে কলেজে গিয়েছিলেন তিনি। গভীর রাত পর্যন্ত খোঁজ না মেলায় পরিবারের তরফে স্থানীয় থানায় অপহরণের অভিযোগ করা হয়। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, ধৃত চিকিৎসক বিবেক তিওয়ারি বেশ কিছুদিন ধরে বিয়ে করার জন্য ওই ছাত্রীকে বিরক্ত করছিলেন।
আগ্রার পুলিশ সুপার বাবলু কুমার বৃহস্পতিবার বলেন, ‘বিবেক তিওয়ারির বাড়ি কানপুরে। জালৌনে (আগ্রা থেকে প্রায় ২২৩ কিলোমিটার দূরে) একটি ক্লিনিক রয়েছে। তাঁকে জেরা করা হচ্ছে।’ তিনি জানান, বুধবার সকালে আগরার এম এম গেট থানার অন্তর্গত বামরোলি আহির এলাকা থেকে ওই ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের পর সেখানকার রাস্তা ও দোকানে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরাগুলির ফুটেজ পরীক্ষার কাজ শুরু করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, দিল্লীর শিবপুরী এলাকার বাসিন্দা ওই ছাত্রী মোরাদাবাদের একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি পাওয়ার পরে এস এন মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। তিনি সার্জারি বিভাগের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রী ছিলেন।