চীনা সংস্থা হওয়ার কারণে মাসখানেক আগেই ভিভোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে বিসিসিআইয়ের। এরপর গতকালই আইপিএলের জন্য নতুন টাইটেল স্পনসরের নাম ঘোষণা করেছে তারা। সূত্রের খবর, ২২২ কোটি টাকার বিনিময়ে এই অনলাইন গেমিং সংস্থাটি আইপিএলের মতো মেগা টুর্নামেন্টের টাইটেল স্পনসর হয়েছে। কিন্তু তারপরেও বিতর্ক থামছে না। কারণ, এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, আইপিএলের নতুন স্পনসর ড্রিম ইলেভেনেরও নাকি এক চীনা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ আছে! বছর দুই আগে ওই চীনা সংস্থা ড্রিম ইলেভেনে মোটা অঙ্কের বিনিয়োগ করেছিল। যা প্রকাশ্যে আসার পর রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছে বিসিসিআই।
ড্রিম ইলেভেন নামের এই ফ্যান্টাসি গেমিং অ্যাপটি ২০০৮ সালে তৈরি করেন ভবিত শেঠ এবং হর্ষ জৈন। এই মুহূর্তে দেশের সফলতম ফ্যান্টাসি গেমিং অ্যাপ এই ড্রিম ইলেভেন। ইতিমধ্যেই কমবেশি ৮ কোটি মানুষ এই অ্যাপটি ব্যবহার করেন। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাদ্যমের দাবি অনুযায়ী, ২০১৮ সালে চীনের গেমিং সংস্থা টেনসেন্ট এই সংস্থাটিতে ১০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেবছরই ড্রিম ইলেভেনের বার্ষিক আয় একধাক্কায় বেড়ে যায় প্রায় ৩ গুণ। সেবছরই টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং আইসিসির সঙ্গে চুক্তি করে সংস্থাটি। বিগ ব্যাশ, প্রো-কাবাডি, এবং আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশনের সঙ্গেও সেবছরই চুক্তি হয়।
উল্লেখ্য, গত জুনে লাদাখ সীমান্তে ভারত-চীন সঙ্ঘর্ষে উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। শহীদ হন ২০ জন ভারতীয় সেনা জওয়ান। তারপর থেকেই দেশজুড়ে চীনা পণ্য বয়কটের হিড়িক পড়েছে। ইতিমধ্যেই একগুচ্ছ চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রও। এই পরিস্থিতির মধ্যেও বিসিসিআই প্রথমে জানায়, চীনের মোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থা ভিভোকেই টাইটেল স্পনসর হিসেবে রেখে দেওয়া হবে। যা নিয়ে শুরু হয় তীব্র বিতর্ক। পরে পরিস্থিতি প্রতিকূল বুঝে নিজেরাই টুর্নামেন্ট থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় ভিভো। আর এবার ড্রিম ইলেভেন আসার পর ফের নতুন করে মাথাচাড়া দিলো বিতর্ক।