মোট আক্রান্তের নিরিখে রাশিয়াকে পিছনে ফেলে করোনা আক্রান্ত দেশগুলির তালিকায় এখন তৃতীয় স্থানে ভারত। তারপরেও রোজ নিজেই নিজের রেকর্ড ভাঙছে করোনা। নতুন করে সংক্রমণ দু’দিন পর আবার ৬৪ হাজার পেরলো। সেই সঙ্গে এক দিনে সুস্থ হলেন ৬০ হাজারেরও বেশি আক্রান্ত। সংক্রমণ হার কম থাকলেও গতকালের তুলনায় সামান্য বেড়েছে। এক দিনে মৃত্যু বিগত দিনগুলির তুলনায় একটু বেড়ে আজ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৬৪ হাজার ৫৩১ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। ওই সময়ের মধ্যে, আমেরিকা ও ব্রাজিলে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৪৪ হাজার ৫১৯ ও ৪৭ হাজার ৭৮৪ জন। অর্থাৎ এক দিনে আক্রান্ত বৃদ্ধির নিরিখে আমেরিকা ও ব্রাজিলের থেকে এগিয়ে ভারত। এই বৃদ্ধির জেরে দেশে মোট করোনা আক্রান্ত হলেন ২৭ লক্ষ ৬৭ হাজার ২৭৩ জন।
প্রতিদিন যে সংখ্যক মানুষের পরীক্ষা হচ্ছে, তার মধ্যে যত শতাংশের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসছে, সেটাকেই বলা হচ্ছে ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সংক্রমণ হার ৮.০৫ শতাংশ। কোভিড সংক্রমণে শুরু থেকেই শীর্ষে মহারাষ্ট্র। সেখানে মোট আক্রান্ত ৬ লক্ষ ১৫ হাজার। দ্বিতীয় স্থানে থাকা তামিলনাড়ুতে মোট আক্রান্ত প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ। অন্ধ্রপ্রদেশেও মোট আক্রান্ত তিন লক্ষ পার করেছে। চতুর্থ স্থানে থাকা কর্ণাটকে সংখ্যাটা ২ লক্ষ ৪০ হাজার মতো। এর পর রয়েছে উত্তরপ্রদেশ (১,৬২,৪৩৪) ও দিল্লী (১,৫৪,৭৪১)।
অন্যদিকে, স্পেন, ফ্রান্স, ইতালি, ব্রিটেনের মতো দেশকে পিছনে ফেলে, মৃত্যর নিরিখে বিশ্বের চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভারত। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার জেরে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৯২ জনের। এ নিয়ে দেশে মোট ৫২ হাজার ৮৮৯ জনের প্রাণ কাড়ল করোনা। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রেই মারা গিয়েছেন ২০ হাজার ৬৮৭ জন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা তামিলনাড়ুতে মোট মৃত আজ ছ’হাজার ছাড়িয়েছে। দেশের রাজধানীতে সেই সংখ্যাটা ৪ হাজার ২২৬ জন। কর্ণাটকেও মৃতের সংখ্যা চার হাজারের বেশি।
তবে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা যেমন রোজ বাড়ছে, তেমনই প্রচুর আক্রান্ত সুস্থও হয়ে উঠছেন। দেশে কোভিড রোগীর সুস্থ হয়ে ওঠার পরিসংখ্যান শুরু থেকেই আশাব্যাঞ্জক। এখনও পর্যন্ত মোট ২০ লক্ষ ৩৭ হাজার ৮৭০ জন করোনার কবল থেকে মুক্ত হয়েছেন। অর্থাৎ দেশে মোট আক্রান্তের ৭৩.৬৪ শতাংশ আক্রান্ত সুস্থ হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬০ হাজার ৯১ জন।
