করোনা সংক্রমণ রুখতে সেই মার্চের শেষ থেকে টানা লকডাউন চলছে দেশে। সম্প্রতি লকডাউন বিধি একটু শিথিল হলেও এতদিনে আর্থিক মন্দার জেরে অনেক সংস্থাই বিপুল কর্মী ছাঁটাই করেছে। যার ফলে বেড়েছে বেকারত্ব। এবার সে কথা কবুল করে নিল মোদী সরকারও। করোনার প্রভাবে দেশে শুধু পর্যটন শিল্পেই ২ থেকে ৫.৫ কোটি কাজ গিয়েছে বলে জানাল কেন্দ্র। অবস্থা তথৈবচ বিমান পরিবহণ শিল্পেরও। একই রকম বিবর্ণ ছবি এঁকে উপদেষ্টা সংস্থা সিএমআই-এর পরিসংখ্যান, ১৬ অগস্ট শেষ হওয়া সপ্তাহে দেশে বেকারত্বের হার ফের পৌঁছে গিয়েছে ৯ শতাংশের ওপরে। লকডাউন ঘোষণার ঠিক আগের থেকেও যা বেশি!
সোমবার বৈঠক ছিল পর্যটন, পরিবহণ এবং বিমান পরিষেবা সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির। সূত্রের খবর, সেখানে পর্যটনসচিব যোগেন্দ্র ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, অতিমারির আক্রমণে বিধ্বস্ত পর্যটন শিল্প। শুধু সেখানেই সম্প্রতি কাজ খুইয়েছেন ২ থেকে ৫.৫ কোটি মানুষ। রাজস্ব ক্ষতির অঙ্ক ১.৫ লক্ষ কোটি টাকা। নির্দিষ্ট সংখ্যা না বললেও, বিমান পরিবহণের বেহাল দশার কথা তুলে ধরেছেন ওই মন্ত্রকের সচিব পি এস খরোলাও। সূত্রের খবর, তিনি জানিয়েছেন, আগামী দিনে বিমান চলাচল শুরুর পরেও আন্তর্জাতিক উড়ান আপাতত ৫০ শতাংশ-৬০ শতাংশ কমবে। প্রায় অর্ধেক থাকবে দেশের মধ্যে উড়ানের সংখ্যাও। পরিস্থিতি এতটাই সঙ্গিন যে, বহু সংস্থা অনেক বিমানই বসিয়ে রাখতে বাধ্য হচ্ছে। রাজস্ব ক্ষতির পরিমাণও বিপুল।
কাজের বাজারের এই বিবর্ণ ছবির প্রতিফলন সিএমআই-এর পরিসংখ্যানেও। তাদের তথ্য অনুযায়ী, ১৬ আগস্ট শেষ হওয়া সপ্তাহে গ্রামে বেকারত্বের হার ৮.৮৬ শতাংশ। শহরে ৯.৬১ শতাংশ। সাত দিন আগে, ৯ আগস্ট শেষ হওয়া সপ্তাহেও যা ছিল যথাক্রমে ৮.৩৭ শতাংশ ও ৯.৩১ শতাংশ। ফলে এই সাত দিনের ব্যবধানে দেশে সার্বিক বেকারত্বের হারও ৮.৬৭ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৯.১ শতাংশ। লকডাউন ঘোষণার ঠিক আগে ২২ মার্চ শেষ হওয়া সপ্তাহে দেশে বেকারত্বের হার যেখানে ৮.৪১ শতাংশ ছিল, সেখানে এখন লকডাউন শিথিলের এত দিন পরে তা ৯ শতাংশের ওপরে।