মুখে অনেক আশ্বাস দিলেও কার্যক্ষেত্রে লাদাখে অনেক জায়গা থেকে নড়ার কোনও লক্ষণ দেখাচ্ছে না চীনা সেনা। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে অর্থনৈতিক ভাবে চীনকে আরও শায়েস্তা করা যায়, সেদিকেই জোর দিচ্ছে ভারত।
প্যাংগং সো হোক বা গোগরা-হট স্পিংস অঞ্চল, চীনের সেনা কিছুতেই এপ্রিলের আগের পরিস্থিতি যেতে রাজি নয়। সরকারি সূত্রের খবর, চীন স্টাডি গোষ্ঠীর সোমবার বৈঠক ছিল। সেখানে লাদাখ ও আকসাই চীনে লাল ফৌজের গতিবিধি নিয়ে আলোচনা হয়। এই গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্ব ও গুরুত্বপূর্ণ আমলারা। চীনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের গতিপথ এই গোষ্ঠীই ঠিক করে।
চীনের কথা হচ্ছে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সীমান্তের সমস্যা, দুটিকে আলাদা করে দেখা হোক। কিন্তু এই দাবি মানতে নারাজ ভারত। সীমান্তে চীন লাল চক্ষু দেখালে ভারতও যেভাবে সম্ভব সেটা রুখবে বলে ঠিক করেছে। এই মুহূর্তে চীনা সেনা লাদাখে গোগরা-হট স্প্রিংসে নিজেদের জায়গায় গ্যাঁট হয়ে বসে আছে। প্যাংগং সো লেকেও ফিংগার ৪-এ গ্রিন টপে মোতায়েন চীনা সেনা।
এই কারণে ভারতীয় সেনাও ফরওয়ার্ড পজিসনে প্রস্তুত হয়ে বসে আছে। ৫ জুলাই দুই দেশের বিশেষ প্রতিনিধি সীমান্তে পুরো সেনা সরানোর কথা বললেও কার্যক্ষেত্রে খুব কিছু সেনা হটায়নি চীন।
বেজিংয়ের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বেশ কিছু পদক্ষেপ ইতিমধ্যেই নিয়েছে ভারত। চীনা অ্যাপ ব্যান করা থেকে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কাজে চীনা সংস্থাদের দূরে রাখা, মোদী সরকার এভাবেই বেজিংয়কে বেকায়দায় ফেলতে চাইছে। অন্যদিকে আমেরিকাও চীনা সংস্থাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। তাই এটি স্পষ্ট যে অদূর ভবিষ্যতে ভারতও চীনা সংস্থাদের বরাত দেবে না বিভিন্ন ক্ষেত্রে। সীমান্তে সমস্যা জিইয়ে রাখলে তার জের যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপর পড়বেই, সেটা বুঝিয়ে দিতে বদ্ধপরিকর মোদী সরকার।