স্বাধীনতা দিবসের দিনেই প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন ভারতে এই মুহুর্তে তিনটি ভ্যাকসিন কাজ করছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের অধীনস্থ ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স জানিয়েছে, পুণের জেনোভা বায়োফার্মাসিউটিক্যাল ও হায়দরাবাদের বায়োলজিক্যাল ই—এই দুই বায়োটেকনোলজি কোম্পানির টিকার সেফটি ট্রায়ালের রিপোর্ট বেশ ভাল। এবার মানুষের শরীরে প্রয়োগের জন্য রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে।
ভ্যাকসিনের টিকার ট্রায়ালে এগিয়ে সেরাম ইনস্টিটিউটও। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রজেনেকার ডিএনএ ভেক্টর ভ্যাকসিন ভারতেই তৈরি করছে পুণের সেরাম ইনস্টিটিউট। ভারত বায়োটেক ও জাইডাস ক্যাডিলার ভ্যাকসিন ইতিমধ্যেই দ্বিতীয় পর্বের ট্রায়াল শুরু করে দিয়েছে।
ভ্যাকসিনের উৎপাদন ও বিতরণের জন্য জনসনের ফার্মাসি গ্রুপ জ্যানসেন ফার্মাসিউটিক্যালসের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে ভারতের এই বায়োটেকনোলজি কোম্পানির। বায়োমেডিক্যাল অ্যাডভান্সড রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটির যৌথ উদ্যোগে Ad26.COV2.S ভ্যাকসিন ক্যানডিডেট ডিজাইন করেছে জনসন অ্যান্ড জনসনের রিসার্চ উইং জ্যানসেন ফার্মাসিউটিক্যালস। সার্স-কভ-২ ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনকে নিষ্ক্রিয় করে তাকে ল্যাবরেটরিতে বিশেষ পদ্ধতিতে পিউরিফাই করে এই ভ্যাকসিন ক্যানডিডেট তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই মার্কিন সরকারের সঙ্গে চুক্তির ভিত্তিতে প্রায় ১০০ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ তৈরির প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে জনসন অ্যান্ড জনসন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটেলের বায়োটেক ফার্ম এইচডিটি বায়োটেকনোলজি কর্পোরেশনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভ্যাকসিন তৈরি করেছে পুণের জেনোভা বায়োফার্মাসিউটিক্যাল। আরএনএ (রাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড) টেকনোলজিতে মেসেঞ্জার আরএনএ সিকুয়েন্সকে কাজে লাগিয়েছে HGCO19 ভ্যাকসিন ক্যানডিডেট ডিজাইন করেছে জেনোভা।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) ও পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি (এনআইভি) থেকে সার্স-কভ-২ ভাইরাল স্ট্রেন নিয়ে ল্যাবোরেটরিতে তার স্ক্রিনিং করে ভ্যাকসিন ক্যানডিডেট BBV152 বানিয়েছে ভারত বায়োটেক