বিরোধীরা প্রথম থেকেই অভিযোগ জানাচ্ছিলেন যে, বাংলায় ঠিক মত কোভিডের চিকিৎসা হচ্ছে না। রাজ্য সরকার করোনা মোকাবিলা করতে একেবারে ব্যর্থ। কিন্তু বিরোধী দলগুলির এমন হাজারও অভিযোগ সত্ত্বেও রাষ্ট্রসংঘের শান্তি পরিষদ থেকে নিজেদের কাজের জন্য এদিন প্রশংসা আদায় করে নিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। বিশ্বব্যাপী অতিমারির মধ্যেও বাংলার সরকার যে মানবদরদী ভাবমূর্তি বজায় রেখে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, তার প্রশংসা করা হয়েছে রাষ্ট্রসংঘের তরফ থেকে লেখা এই চিঠিতে।
গতকাল জাপানে অবস্থিত রাষ্ট্রসংঘের শান্তি পরিষদের তরফ থেকে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারকে। গোটা বিশ্বকে নাকাল করে দেওয়া একটি অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে সাধারণ মানুষকে কতটা কোণঠাসা হতে হয়েছে সেই কথাই উল্লেখ করা হয়েছে এই চিঠিতে। রাজ্যের মন্ত্রী ডাঃ নির্মল মাজিকে দেওয়া এই চিঠিতে রাষ্ট্রসংঘের শান্তি পরিষদ লিখেছে, “আমাদের প্রতিনিধির মারফৎ আমরা আপনাদের রাজ্য সরকারের বিষয়ে জানতে পেরেছি। আমরা আপনাদের মানবদরদী মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর দারুণ কৃতিত্বের বিষয়েও জেনেছি।”
রাজ্যের ভূয়সী প্রশংসা করে চিঠিতে রাষ্ট্রসংঘের শান্তি পরিষদ আরও লেখে, “এই অতিমারির মধ্যেও সমাজের প্রতি আপনাদের অবদান সম্পর্কে আমরা ওয়াকিবহাল। চিকিৎসকরা তো সর্বশক্তিমানেরই আরেক রূপ এখন। মানবজাতি আপনাদের নিরাপদ হাতে রয়েছে। কৃতজ্ঞতা এবং প্রশংসার প্রতীক হিসেবে আপনাদের একটি শংসাপত্র তুলে দিতে পেরে আমরা ভীষণ গর্বিত।” তবে এখানেই শেষ নয়, ভবিষ্যতে রাষ্ট্রসংঘের তরফে রাজ্যে এসে সরকারের কর্মকাণ্ড দেখে যাওয়ার কথা সেখানে বলা হয়েছে। এবং বাংলার প্রতিনিধিদেরও জাপানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এই বিষয়ে ডাঃ নির্মল মাজি বলেন, “আমি দিদিকে দেখে শিখেছি কীভাবে মানুষের জন্য কাজ করতে হয়। মুখ্যমন্ত্রীর মানবদরদী ভূমিকায় উজ্জীবিত হয়ে নিঃস্বার্থভাবে রাজ্যের মানুষের জন্য কাজ করে চলেছি। বিগত ছয় মাস ধরে প্রত্যেকদিন ১৮ ঘণ্টা কাজ করছি। একাধিক কোভিড হাসপাতালে রাত্রিযাপন করেছি। গরিব মানুষের সমস্যায় ঝাঁপিয়ে পড়েছি। আজ আমাদের সকলের সেই সমস্ত কঠোর পরিশ্রম আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল।” রাষ্ট্রসঙ্ঘের এই ভূয়সী প্রশংসা খবর পৌঁছেছে নবান্নেও। এরপরই গোটা রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।