একমাস ধরে চলতে থাকা দীর্ঘ টানাপোড়েন শেষে ফের রাজস্থানের কংগ্রেস শিবিরে প্রত্যাবর্তন করেছেন সচিন পাইলট। গত সোমবার নয়াদিল্লীতে রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাতের পরই সচিনের ঘর ওয়াপসির পথ প্রশস্থ হয়। তবে সেদিন রাহুল-প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে সাক্ষাতে নিজের একাধিক অভিযোগ তুলে ধরেন রাজস্থানের সচিন। তাঁর প্রধান দাবি ছিল রাজস্থানের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অবিলম্বে সরিয়ে দিতে হবে অবিনাশ পান্ডেকে এবং দ্রুত তৈরি করতে হবে একটি কমিটি যেখানে বিধায়করা তাঁদের অসন্তোষ জানাতে পারবেন সময়ে সময়ে।
এবার সেই দাবি মেনে নিয়ে রাজস্থানের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অবিনাশ পাণ্ডেকে সরিয়ে দেওয়া হল। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী তাঁর বদলে দিল্লীর কংগ্রেস নেতা, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মাকেনকে রাজস্থানের দায়িত্বে বসিয়েছেন। একই সঙ্গে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের বিরুদ্ধে পাইলটের যাবতীয় অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সমস্যার সমাধানে আহমেদ পটেলের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি তৈরি হয়েছে। ওই কমিটিতেও মাকেন থাকবেন। অন্য সদস্য এআইসিসি-তে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল।
উল্লেখ্য, বিদ্রোহে ইতি টেনে কংগ্রেসে ফেরার পরে সচিন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর কাছে এই অভিযোগ জানিয়েছিলেন যে, অবিনাশ পাণ্ডে তাঁর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী গেহলটের ঠান্ডা যুদ্ধের কথা জানতেন। কিন্তু গেহলট তাঁদের কোণঠাসা করছেন বলে অভিযোগ পেয়েও হাইকমান্ডকে জানাননি তিনি। নিজেও বিবাদ মেটানোর চেষ্টা করেননি। গত দেড় বছর গেহলট-পাইলট কথা বন্ধ থাকাকালীন পাণ্ডের নিষ্ক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। তাই এবার মাকেনকে রাজস্থানের দায়িত্ব দিল কংগ্রেস। তিনি আগেও রাজস্থানের দায়িত্বে ছিলেন। সচিনের বিদ্রোহের পরে তাঁকেই বারবার জয়পুরে পরিস্থিতি সামলাতে পাঠানো হয়েছিল। মাকেনকে রাজস্থানের ভার দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে সচিন বলেন, ‘ওঁর নিয়োগে রাজস্থান কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের আশা জোরদার হবে।’