করোনার সংক্রমণ রুখতে হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীর ব্যবহার্য নিয়ে ‘হলুদ প্যাকেট’-এর উপরেও বিশেষ নজরদারি শুরু করছে কলকাতা পুরসভা। কারণ, পুরসভা রোগীর বাড়িতে সংক্রমণ প্রতিরোধী হলুদ প্যাকেট পৌঁছে দিলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে বর্জ্য ভরতি প্যাকেটটি নির্দিষ্ট সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে না। আবার করোনা রোগীর ঘরের বর্জ্য রাস্তায় চলে আসায় সাফাই কর্মী বা প্রতিবেশীদের অজান্তে নতুন করে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে।
নিয়ম হল, করোনা রোগী নিজ গৃহে নিভৃতবাসে থাকলে বায়ো মেডিক্যাল বর্জ্য নেওয়ার গাড়িতে নিজেদের খরচে ওই হলুদ প্যাকেট ফেলতে হবে। টাকা খরচের ভয়ে অনেকে কোভিড আক্রান্ত হওয়ার পরেও হোম আইসোলেশনে থেকে হলুদ প্যাকেট নিলেও বেসরকারি সংস্থার গাড়িতে ফেলছেন না। স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রশাসক জানান, করোনা আক্রান্ত হোম আইসোলেশনে থাকাকালীন সংক্রমণ রুখতে আইসিএমআর গাইড লাইন মেনে বাড়ির বর্জ্য নির্দিষ্ট হলুদ প্যাকেটে ফেলতেই হবে। অন্যথায় অতিমারী আইন মেনে ব্যবস্থার ইঙ্গিত দিয়েছেন পুরকর্তারা।
উল্লেখ্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মেনে সংক্রমিত বস্তু হলুদ প্যাকেটেই ফেলা বাধ্যতামূলক। পুরসভার স্বাস্থ্যবিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক অতীন ঘোষ জানিয়েছেন,“বরো মারফত প্রতিটি ওয়ার্ডেই ওই হলুদ প্যাকেট দেওয়া বাড়িতে বিশেষ নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে। যে রোগী প্যাকেটটি নির্দিষ্ট গাড়িতে ফেলবেন না, তিনি আইসোলেশনের নিয়ম ভাঙবেন। আর নিয়ম ভাঙলেই চিঠি পাঠাবে পুরসভা।” আসলে শহরে কোভিড সংক্রমণ প্রতিরোধে পুরসভা যে অত্যন্ত কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে তা এদিন আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন অতীন।