এবার ফের বাংলার সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ কেন্দ্রের। এক দশক ধরে মাওবাদী দমনে মোতায়েন থাকা পাহাড়ি যুদ্ধে পটু নাগাবাহিনীকে জঙ্গলমহল থেকে সরিয়ে দিচ্ছে মোদী সরকার। নাগাল্যান্ডের অস্থিরতায় ইন্ডিয়ান রিজার্ভ ব্যাটেলিয়নের মাও দমনে এই বাহিনী আগামী মাসেই ‘ঘরে’ ফিরে যাবে। এই বাহিনীর ছ’টি শিবিরে থাকা ছ’কোম্পানির জায়গায় মাত্র দু’কোম্পানি সিআরপিএফ দুটি শিবিরের দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে কেন্দ্রীয় বাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে। ফলে বাকি চারটি ক্যাম্পে কোন বাহিনী থাকবে, নাকি সেই শিবির তুলেই দেওয়া হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার এস. সেলভামুরুগন বলেন, ‘বাহিনী প্রত্যাহার ও সেই জায়গায় অন্য বাহিনী আসার বিষয়ে এখনও আলোচনা চলছে।’
সম্প্রতি ঝাড়গ্রামে সিআরপিএফ আইজির উপস্থিতিতে এই বাহিনীর স্থান পরিবর্তন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। ১৪ নম্বর ব্যাটেলিয়নের নাগাল্যান্ড সশস্ত্র পুলিশের পরিবর্তে সিআরপিএফের ১৬৯ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা এখানে আসছে। এদিকে বাঘমুন্ডির পাশে সরাইকেলা-খরসোঁওয়া ও
খুঁটি জেলা, ঝালদার সীমানায় ঝাড়খণ্ডের বোকারো জেলার জরিডি-কাশমার এলাকা কার্যত মাওবাদীদের ‘সেফ শেলটার’ হয়ে গিয়েছে। কারণ বোকারো ছাড়া পুরুলিয়ার এই বিস্তীর্ণ অঞ্চলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোন শিবিরই নেই। আর তাতেই উদ্বিগ্ন রাজ্য পুলিশ। সেইসঙ্গে নাগা বাহিনীর ৬ কোম্পানির পরিবর্তে ২ কোম্পানি সিআরপিএফে তাদের এওআর (এরিয়া অফ রেসপনসিবিলিটি) বেড়ে গেলে চাপ বাড়বে। ফলে ঝাড়খণ্ড ছুঁয়ে থাকা এই বিস্তীর্ণ অঞ্চলকে সামাল দেওয়া মুশকিল হয়ে যাবে।