ক্রিকেটের এভারেস্টে আছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। এমনটাই মনে করেন রবি শাস্ত্রী। মাহির বিদায়বেলায় শাস্ত্রী বলে দিলেন, ‘‘আমার মতে, ভারতীয় ক্রিকেটে কারও চেয়ে পিছিয়ে নেই ধোনি। ও কারও চেয়ে দ্বিতীয় নয়।’’ শাস্ত্রীয় ভঙ্গিতে জোর দিয়ে বলে উঠছেন, ‘‘কী সব প্রাপ্তি ছেলেটার! দু’টো বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, আইপিএল, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ— কী জেতেনি! ট্রফি জেতার এই সাফল্যের হার বিশ্বেও কি আর কোনও ক্যাপ্টেনের আছে?’’
শাস্ত্রী ধোনিকে নিয়ে বললেন, ‘‘পূবের আকাশে ওঠা উজ্জ্বলতম সূর্য, যা সারা ক্রিকেট পৃথিবীতে কিরণ দিয়ে গেল।’’ ধোনির কোন গুণটা তাঁকে সব চেয়ে আকৃষ্ট করেছে? জিজ্ঞেস করায় শাস্ত্রীর জবাব, ‘‘ওর স্থিরতা এবং কখনও নিয়ন্ত্রণ না হারানো।’’ ২০১৪-তে যখন তিনি টিম ডিরেক্টরের দায়িত্ব নেন, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজে চূর্ণ ভারত। কী দেখেছিলেন? ‘‘দেখেছিলাম, ও রকম প্রাণান্তকর চাপের পরিস্থিতিতেও ধোনির স্থিরতা নষ্ট হয়নি,’’ বলে দিচ্ছেন শাস্ত্রী।
সাদা বলের ক্রিকেট হল ধোনি ক্রিকেট। ওই ফর্ম্যাটে ওর চেয়ে বড় কেউ নয়। কিং অফ হোয়াইট বল,’’ বলে শাস্ত্রী যোগ করছেন, ‘‘এবং, কী অসামান্য জীবন দর্শন। ক্রিকেট ওর জীবনে এসেছিল, খেলল, আনন্দ দিল, চলে গেল। যে ভাবে ও ক্রিকেট খেলেছে, তার প্রতি সকলের শ্রদ্ধা রয়েছে।’’ অধিনায়ক হিসেবে ধোনির প্রাপ্তি? শাস্ত্রী ফের বললেন, ‘‘কাউকে কি ওর সামনে বসানো সম্ভব?’’ ধোনির বিদায় নেওয়া? ড্রেসিংরুমে কী প্রভাব পড়বে? ‘‘এটা শচীন তেন্ডুলকরের ড্রেসিংরুম ছেড়ে চলে যাওয়ার মতো,’’ বললেন তিনি।
ছোট শহর থেকে ধোনির উত্থানেরও বড় ভক্ত শাস্ত্রী। যে ছেলেটা এক দিন খড়গপুরে টিকিট কালেক্টরের কাজ করছিল, টেনিস বলে হেলিকপ্টার শট মারছিল, সে-ই ক্রিকেট আকাশে উড়তে চাইল এবং দেশকে বিশ্বকাপ জেতাল। এ যেন রূপকথা! বরাবর যা সকলকে নাড়িয়ে দিয়ে গিয়েছে। শাস্ত্রীও ব্যতিক্রম নন।