আন্তঃ স্কুল ম্যাচে ৪০ ওভারে ৪০০ রান করে জওহর বিদ্যামন্দিরে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন ধোনি। সেই যাত্রা শুরু। ডিএভি জওহর বিদ্যামন্দিরের গোলকিপার হিসেবে খেলার সময়ই তিনি নজর কাড়েন ছোটবেলার কোচ কেশব বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দলে উইকেটকিপারের অভাব ছিল। তাই এমন একজনকে কেশব চাইছিলেন, যে ঝাঁপিয়ে বল ধরতে পারে। ধোনির মধ্যে সেই ফিটনেস লক্ষ্য করেছিলেন কেশব। সেই মাহিই এবার ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন।
বর্তমানে ধোনি যে রকম শান্ত, নম্র, ভদ্র ও ঠান্ডা মাথার মানুষ হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত, শৈশবেও কি একই রকম ছিলেন? সেই সব প্রশ্নের উত্তর দিলেন ধোনির ক্লাস টিচার শর্মিষ্ঠা কুমার। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে ধোনিদের ক্লাস টিচারের দায়িত্ব সামলানোর সঙ্গেই অর্থনীতি, বাণিজ্য ও গণিতবিদ্যা পড়াতেন শর্মিষ্ঠা ম্যাম। বলছিলেন, ‘‘ছোটবেলা থেকেই একেবারে শান্ত। ক্লাসে এসে চুপ করে পড়া শুনত। বকা খেলে একেবারেই তর্ক করত না। মাথা নিচু করে নিজের ভুল স্বীকার করে নিত। এখন যেমন ধোনিকে দেখছেন, ছোটবেলাতেও ঠিক এমনটাই ছিল। পড়াশোনায় খারাপ বলব না। ও কিন্তু কখনও ফেল করেনি। প্রত্যেক বিষয়ে পাশ করে স্কুল থেকে বেরিয়েছে।’’
স্মৃতিরোমন্থন করতে গিয়ে শর্মিষ্ঠা জানালেন, এক বার স্কুল পালিয়ে জেলা স্তরের ম্যাচ খেলতে যাচ্ছিলেন ধোনি। যে ট্রেনে চেপে খেলতে যাচ্ছিলেন, সে ট্রেনেই ছিলেন ধোনির বায়োলজি টিচার সুষমা শুক্ল। শর্মিষ্ঠার কথায়, ‘‘সুষমা কিন্তু ধোনিকে দেখতে পায়নি। ধোনি দেখতে পেয়েছিল। ওর বন্ধুকে দিয়ে বলে পাঠায়, ম্যাম আপনি যে ট্রেনে যাচ্ছেন, সে ট্রেনে আপনার ছাত্রও রয়েছে। মহেন্দ্র সিংহ।’’ যোগ করেন, ‘‘সুষমা প্রশ্ন করে, কে ধোনি? ওর বন্ধু মাথা নাড়িয়ে চলে যায়। ও যে কাউকে না বলে খেলতে গিয়ে অপরাধ করছে, সেটা বুঝতে পেরেছিল। তাই বন্ধুকে দিয়ে খবর পাঠায়।’’